ক্ষমতায় এসেই বাংলার মানোন্নয়নে নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজর দিয়েছিলেন কৃষকদের উন্নতিতে। এই কারণে একাধিক প্রকল্প এনেছেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এবার ফড়েরাজ ঠেকাতে এই প্রকল্পই হাতিয়ার হয়ে উঠল।
ফড়েরাজ ঠেকাতে একদিকে যেমন মমতা খাদ্য দফতরকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনই কৃষকদের বারবার আবেদন জানিয়েছেন, সরকারি কেন্দ্রে নিজের ধান বিক্রি করে চেক নিতে। সে কারণে নথিভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকেই ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘কৃষি দফতরের তরফে নথি যাচাই করে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। একজন মানুষ যে কৃষিজীবী এবং তাঁর জমির পরিমাণ কত, সেই তথ্য তুলে রাখা হচ্ছে এই প্রকল্পে। কাজেই ওই কার্ড নিয়ে যিনি ধান বিক্রি করতে আসবেন, তিনি যে প্রকৃতই কৃষক, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ হওয়া যাবে। এর মাধ্যমে এড়ানো যাবে ধান বিক্রিতে ফড়েদের দাপট।’
কৃষকবন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে একজন কৃষক জমির পরিমাপের উপর বছরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে রাজ্যের ৪২ লক্ষ কৃষক এতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের ৭২ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন বলে সরকারের প্রাথমিক অনুমান। ভোটের জন্য এই ক’মাস কৃষকদের চেক বিলির কাজ বন্ধ ছিল। ভোট মিটতেই ফের শুরু হচ্ছে সে কাজ।