মঙ্গলবার ভর সন্ধ্যায় নিমতার ঠাকুরতলায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু৷ বাইকে চড়ে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ সিসিটিভি দেখে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আটক করল ২ বিজেপি নেতাকে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিমতা থানা এলাকার পাটনাপাড়ায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন নির্মলবাবু। আচমকাই জনবহুল সেই এলাকায় মোটর সাইকেলে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে ও মাথায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হকচকিয়ে যান আশেপাশের মানুষজন। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন তাঁরা। ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসেন নির্মলবাবুর প্রতিবেশী ও স্বজনরা। তাঁরাই তড়িঘড়ি তাঁকে তুলে উত্তর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় সামনে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেই সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার ধরা পড়েছে দুষ্কৃতী হামলার ছবি। ফুটেজ থেকে স্পষ্ট, বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা। তারপর গুলি করে চম্পট দেয়। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একটি বাইক করে দুই যুবক। এসে তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীদল। গুলি করেই বাইক ছুটিয়ে চম্পট দেয় আততায়ীরা। গুলির আঘাতে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা নির্মল কুন্ডু।
নিমতার তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুর খুন নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এই ঘটনা বিজেপি ঘটিয়েছে। যাঁরা গুলি করেছে আর যে ষড়যন্ত্রী, সবাইকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার ওই এলাকায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে জনরোষ হবে।” এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ও। তাঁর অভিযোগ, “আমাদের সন্দেহ বিজেপির মদতপুষ্ট সমাজবিরোধী ও অপরাধীরা এটা করেছে। কয়েক দিন ধরেই পুলিশকে বলা হচ্ছিল এখানে অনেক বাইরের লোক আসছে। কিন্তু পুলিশ সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্মল কুণ্ডু আমাদের দলের একটা স্তম্ভ ছিল এই এলাকায়। তাঁর মৃত্যু আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।” তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের দাবি, “যে নোংরা খেলায় বিজেপি নেমেছে, তার মাশুল বিজেপিকে খুব তাড়াতাড়ি দিতে হবে।”