ভোটের বহুদিন আগে থেকেই সন্ত্রাস জারি রেখেছিল গেরুয়া শিবির। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও সেই পথ থেকে সরে যায়নি বিজেপি। এখনও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকর্মীদের ওপরে আক্রমণ হচ্ছে। গেরুয়া বাহিনীর এই রোষের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না মহিলারাও। গত রবিবারেই এক মহিলা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়। এবার অভিযোগ উঠল মূক-বধির এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বিকালে জয়পুরের সেহাগোড়ী থেকে বিনলাকৃষ্ণবাটি পর্যন্ত বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। মিছিল চলাকালীন বিজেপি কর্মীরা একাধিক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গেরুয়া আবির দিয়ে দেয়। এরপর রাতে কয়েকজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের বুথ সভাপতি নিরঞ্জন হাইত ও তৃণমূল কর্মী সুনীল প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ।
নিরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, “বিজেপি কর্মীরা আমাকে মারধর করছিল। তখন আমার মূক ও বধির দিদি বাধা দিতে গেলে বিজেপি কর্মীরা তাকেও মারধর করে। এমনকী, আমার ৬ মাসের নাতিকে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টাও করে। শুধু তাই নয়, আমার দিদির সঙ্গে অশালীন আচরণও করে তাঁরা। অবিলম্বে গ্রাম না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়”। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে রবিবার হরিপালে বিজেপির মিছিল থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বুলটি কেওড়ার বাড়িতে ঢুকে মারধর, ভাঙচুর, লুটপাট এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সকাল থেকেই হরিপাল ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে মিছিল করে বিজেপি। নপাড়া গ্রাম দিয়ে বিজয় মিছিল যাওয়ার সময় আচমকাই ওই এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বুলটির বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। জিনিসপত্র ভাঙচুর করে তার সঙ্গে গায়ে হাত দেয় বুলটিরও।