ইভিএম নিয়ে এবার কার্যত বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই কালীঘাটে প্রথম পর্যালোচনা বৈঠকে ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করার দাবি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সোমবার নবান্নে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও ব্যালট ফেরাও’, ‘মেশিন চাই না ব্যালট চাই’- এর মতো স্লোগানের মাধ্যমে সারা দেশে আন্দোলন সংগঠিত করবে তৃণমূল। এবং ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও সেই স্লোগান তুলবেন মমতা।
জানা গেছে, ২১ জুলাই শহীদ দিবসকে মাথায় রেখে জেলায় জেলায় ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করবে তৃণমূল। নেতৃত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সাংসদ-বিধায়কেরা। ২১ জুলাই পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে। জেলা সভাপতি এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে এই জনযোগ যাত্রার রুট ঠিক করবেন বলে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী। সোমবার দলীয় বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘আমরা ইভিএম চাই না। ব্যালট চাই। দেশের সব দলকে এই আন্দোলনে যুক্ত হতে বলব।’
কেন ইভিএম বাতিলের দাবি করছেন, গতকাল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, “ভোটের দিন বহু জায়গায় ইভিএম খারাপ হওয়ায় তা বদল করতে হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত ইভিএমের দুই শতাংশেরই ‘মক পোল’ হয়নি।” কোন বিধানসভা এলাকায় কত ইভিএম বদল হয়েছে, বিধায়কদের ১৫ দিনের মধ্যে তার হিসাব দিতে বলেছেন তিনি। মমতা এ-ও বলেন, ‘কয়েক লক্ষ মেশিন কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি? সেগুলো কি বদল করা হয়েছিল? আমরা ইভিএমের এই ভোট মানুষের রায় বলে মানি না।’
সোমবার দলের মন্ত্রী, সাংসদ ও নবান্ন সভাঘরে বিধায়কদের সঙ্গে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমেরিকার মতো দেশও ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে। আমি সন্দেহ করি কারণ মাত্র দুই শতাংশ গুণতে দিয়েছে। ৯৮ শতাংশে প্রোগ্রামিং করা নেই, কী ভাবে প্রমাণিত হবে? নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। কিন্তু তারা দেখেনি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলাম। খারিজ করে দিয়েছে। বিচারের জায়গাগুলিতে বিচার পাইনি।’