অনূর্ধ্ব ১৯ ফুটবল ম্যাচের শেষে সঞ্জয় মাঝি ও গৌতম ঘোষের মতো স্কোরাররা এগিয়ে এসে টিপস দিলেন এক প্লেয়ারকে- ‘গোলের কাছে মাঠা ঠান্ডা রাখো। অনেক দূর যেতে হবে।’ মাথা নিচু করে প্রাক্তনদের পরামর্শ শুনলেন শুভ ঘোষ। শ্যামনগরের এই ছেলেটি শুক্রবার জি বাংলা অনূর্ধ্ব ১৯ ফুটবলে হাওড়া একাদশের বিরুদ্ধে মোহন বাগানকে জেতালেন। তিনিই ম্যাচের সেরা। শ্যামনগর থেকে উঠে এসেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁর উৎসাহ শুভ ঘোষের প্রেরণা। শুভ বলছিলেন, “আমার পরিবারের ফুটবলের প্রতি দারুণ উৎসাহ রয়েছে। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাকে টপকে নিজেকে আরও উন্নত করতে চাই। এক বোন ও ভাইয়ের সংসারে শুভ’র বাবা বিজয় ঘোষ বিগ বাজারে সাধারণ চাকরি করেন। মা গৃহকর্ত্রী”।
এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন মোহন বাগান সভাপতি গীতানাথ গাঙ্গুলী, প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গাঙ্গুলী, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়রা বলছিলেন, এখনও পর্যন্ত যা খেলা হয়েছে তাতে ইস্টবেঙ্গলকে তুলনামূলক বেটার সাইড মনে হচ্ছে মোহন বাগানের থেকে। তবে ইস্ট বেঙ্গল প্রথম দুটি ম্যাচ জিতলেও তেমনভাবে শক্ত প্রতিপক্ষ দলের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। বাঙালি স্ট্রাইকার তো ক্রমশই ভারতীয় ফুটবলে লুপ্তপ্রায় হতে চলেছে। সেখানে শুভ’র মতো তরতাজা স্ট্রাইকার স্বপ্ন দেখাতে পারে।
শুক্রবার ম্যাচের শেষে শুভ বলছিলেন, “আমি আরও এগিয়ে যেতে চাই। বাঙালি স্ট্রাইকারের অভাব পূরণ করতে চাই। জি ফুটবলে সেরা পারফরম্যান্স করতে চাই। যাতে ক্লাবের সিনিয়র দলে জায়গা করে নিতে পারি। আমার লক্ষ্য আর বড়-ভারতীয় দল, আইএসএলে খেলা”। মেসি ও সুনীল ছেত্রীর এই ভক্তকে ২০১৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন তৎকালীন মোহন বাগান জুনিয়র দলের কোচ অনন্ত ঘোষ। তারপর থেকেই দূর্গাপুরে সেইল-মোহন বাগান আকাদেমি থেকে তাঁর বেড়ে ওঠা।