আবারও প্রকাশ্যে এল বিজেপির বাংলা বিদ্বেষ। এবং তা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভা গঠন ঘিরে। হ্যাঁ, লোকসভা ভোটে বিজেপি বাংলা থেকে ১৮টি আসন পাওয়ার পরও শপথগ্রহণে বঞ্চনার শিকার হল বাংলা। মোদীর মন্ত্রিসভায় মাত্র দুজন প্রতিমন্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাঙালিকে। যা নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও তুমুল ক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, প্রথমবার বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বাংলাই বিজেপিকে ৩০০ পার করিয়েছে। হাওয়ায় ভাসছিল, ৫-৬ বাঙালিকে মন্ত্রী করে প্রতিদান দেবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। হ্যাঁ, বঙ্গ বিজেপির আশা ছিল, বাংলা থেকে অন্তত ১ জন পূর্ণমন্ত্রী হবেন। সেই সঙ্গে আরও ২-৩ জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। কিন্তু একি! বাংলা থেকে মাত্র ২ জনকে আপাতত মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দিলেন মোদী। তাও আবার প্রতিমন্ত্রী। বাংলা থেকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী ছাড়া পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোট ২৪ জন। তার মধ্যে বাংলার কেউ নেই। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যে ২০ জন, তারই অংশ বাবুল-দেবশ্রী। কেউ কেউ ভেবেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হয়তো পূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন। পূর্ণমন্ত্রী না হোক, অন্তত স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীও দেওয়া যেত। কিন্তু সে আশাতেও জল ঢেলে দিয়েছেন মোদী-শাহ। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্তেই হতাশ রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
একেই বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি ‘বড়বাজারের পার্টি’ হিসেবে খ্যাত ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সেই দুর্নাম খানিকটা হলেও ঘুচেছে। গেরুয়া রাজনীতির উত্থানের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। রাজ্যে প্রথমবার ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু শপথগ্রহণে মাত্র দুজন মন্ত্রী পাওয়ার পর আবারও বাঙালির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অনুযোগ, অন্তত একটা পূর্ণমন্ত্রীর পদ দেওয়াই যেত। তাতে ২০২১ সালের আগে বিজেপির অবস্থান বাংলায় আরও পোক্ত হতো।