ভোটপর্ব মিটে গেছে। সেইসঙ্গে শেষ হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধির মেয়াদও। ফলে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর দাপাদাপি রুখতে আবারও শক্ত হাতে প্রশাসনের রাশ ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে যে রদবদল করা হয়েছিল বাংলার প্রশাসনে তাও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনছেন তিনি। যেমন ফের কলকাতার পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে অনুজ শর্মাকে। বাংলার উন্নয়নের ধারাকে আরও তরান্বিত করতে এবার রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও রদবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার নবান্নে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর দু’-একটা রদবদল তো করতেই হয়। নতুন করে কাউকে নিচ্ছি না আমি।’ সেই তালিকা তিনি নিজেই প্রকাশ করেন। মন্ত্রিসভায় এ দিন যে রদবদল ঘটানো হয়েছে, তাতে দায়িত্ব বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর হাতে গিয়েছে সেচ, পরিবহণ বিভাগ। আগে শুধু পরিবহণ দফতর তাঁর হাতে ছিল। এত দিন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাত্য বসু। অতিরিক্ত বন দফতরের দায়িত্ব হাতে উঠেছে তাঁর হাতে। বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য সাময়িক পঞ্চায়েতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতে। ভোট মিটতেই পুনরায় সুব্রতর হাতেই তুলে দেওয়া হল তাঁর পুরোনো মন্ত্রিত্ব।
এছাড়াও আইন এবং শ্রম দফতরে দায়িত্ব মলয় ঘটকের। জনস্বাস্থ্য-কারিগরি বিভাগ তুলে দেওয়া হয়েছে সৌমেন মহাপাত্রর হাতে। পরিবেশ ও দূষণ বিভাগেরও ভার পেয়েছেন তিনি। এত দিন নিজেই উপজাতি বিভাগের দায়িত্ব সামলাতেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার তফসিলি জাতি ও উপজাতির সঙ্গে ওই বিভাগকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁধে। উল্লেখ্য, মন্ত্রীসভার রদবদল তথা শপথ গ্রহণের জন্য সময় চেয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে চিঠি পাঠায়েছিল নবান্ন। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তাই কাল থেকেই নতুন দায়িত্ব সামলাতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।