দেশজুড়ে ফের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডকে ঘোর দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল উপনির্বাচনের ফল। উত্তরপ্রদেশ কাইরানা লোকসভা আসন এবং নুরপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ছিল। দুটি আসনই ছিল বিজেপির জেতা। এবং দুটিতেই তারা হেরেছে।
কাইরানা লোকসভা আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে অজিত সিংহের আরএলডি। এখানে আরএলডি প্রার্থী তাবাস্যুম হাসান’কে সমর্থন করেছিল সপা,বসপা এবং কংগ্রেস। নুরপুর বিধানসভা আসনটিও হাত ছাড়া হয়েছে বিজেপির। এখানে সমাজবাদীদলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৬২১১ টি ভোটের ব্যবধানে।
এরআগে গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও বিরোধী জোটের প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছিল বিজেপি।
উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি বিহারেও উপনির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপির। এখানে জোকিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আরজেডি প্রার্থী। বিজেপির সহযোগী নিতীশ কুমারের জেডিইউ প্রার্থীকে ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন আরজেডি প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলম।
কিছুটা একই অবস্থা মহারাষ্ট্রেও। এখানে পালঘর লোকসভা আসনটি বিজেপি ধরে রাখতে পারলেও, ভান্ডারা-গোন্ডিয়া লোকসভা আসনটি হাতছাড়া তাদের। বিজেপির থেকে এই আসনটি গিয়েছে শরদ পাওয়ারের এনসিপি-এর দখলে। মহারাষ্ট্রের পালুস কাদেগাঁও বিধানসভা আসনটি ধরে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। নাগাল্যান্ড লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সহযোগী এনডিপিপি’র প্রার্থী।
ঝাড়খণ্ডের দু’টি বিধানসভাকেন্দ্রের উপ নির্বাচনে, গোমিয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হলেও সিল্লি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন জেএমএম প্রার্থী সীমা দেবী।
অন্যদিকে, পঞ্জাবের শাহকোট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি সহযোগী অকালি দলের প্রার্থী’কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
কর্ণাটকের রাজা রাজেশ্বরী নগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪১,১৬২ ভোটে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
উত্তরাখণ্ডের থারালি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
মেঘালয়ের আমপাতি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং কেরালার চেঙ্গান্নুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।