সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসেই হয়তো জেট এয়ারওয়েজের পুনরুজ্জীবন চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। জেটের বিষয়ে আগ্রহী তিন পক্ষ- এতিহাদ এয়ারওয়েজ, হিন্দুজা গোষ্ঠী ও আদিগ্রো অ্যাভিয়েশন। এদের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তরে পৌঁছেছে।
অন্য দিকে, সূত্রের খবর, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক নেতৃত্বাধীন জেটকে ঋণপ্রদানকারী বিবিধ ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়ামও এখন অনেক ‘নমনীয়’। তারা জেটের মোট ৮,০০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া ঋণের ২০% পর্যন্ত ফেরত পেতে রাজি। এই ইঙ্গিতেই লগ্নিকারীরা জেট সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জেট এয়ারওয়েজে ২৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে এতিহাদের। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জাতীয় উড়ান সংস্থাটি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা জেটে ১,৭০০ কোটি টাকা লগ্নি করতে রাজি, তবে অংশীদারিত্ব বাড়াবে না। অন্য দিকে, আদিগ্রো-র লক্ষ্য জেট চেয়ারম্যান ও পরিচালন পর্ষদের আরও তিন সদস্যপদ নিশ্চিত করা।
আদিগ্রো প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় বিশ্বনাথন এই বিষয়ে বলেছেন, “জেটের ২৪.৯% অংশীদারিত্ব পাওয়ার জন্য আমরা ২,৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করতে রাজি। আমাদের সহযোগীরা সংস্থার চেয়ারম্যান পদে আমাকে চাইছে এবং তার সঙ্গে জেট বোর্ডে আরও কমপক্ষে তিনজন নন-এগজিকিউটিভ ডিরেক্টরের দাবি করেছে। পাশাপাশি, সিইও এবং সিএফও পদে আমাদের পছন্দের ব্যক্তিদেরই আসা উচিত।’
হিন্দুজারা যে সমস্ত সংস্থায় কৌশলগত অংশীদারিত্ব নেয়, সেখানে তারা সরাসরি পরিচালনায় প্রথম থেকেই যায় না, বরং পেশাদারদের উপরেই সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। জেটের ক্ষেত্রেও তারা একই কৌশল অব্যাহত রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বনাথন বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি ব্যাঙ্কগুলি আরও দ্রুত পদক্ষেপ করবে যাতে শীঘ্র ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব হয়।’
মনে করা হচ্ছে, সমস্তদিক বিচার বিবেচনা করে হয়তো চলতি মাসেই আলোচনা শেষ হয়ে যাবে এবং অলঙ্ঘনীয় শর্তাবলি সহ চুক্তি জুনের মধ্যে হয়ে যাবে।