জন্মলগ্ন থেকেই হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি তুলে আসছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরণ এবং ভাগাভাগির রাজনীতি করেই গতবার ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাই বারবারই সামনে এসেছে তাদের মুসলিম বিরোধীতার কথা। এবার আবারও প্রকাশ্যে এল ‘ভক্ত’দের মুসলিম বিদ্বেষ। নামাজ পড়ার পরে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিগ্রহের শিকার হলেন যুবক৷ অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে৷ জোর করে বলানো হয় জয় শ্রীরাম।
ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতোই রবিবারও নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন গুরুগ্রামের জাকোবপুরার বাসিন্দা মহম্মদ বরকার আলম৷ মাথায় ছিল ফেজ টুপি। তাঁর দাবি, আচমকাই বিনা প্ররোচনায় একদল অচেনা যুবকের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এরপরই শুরু হয় মারধর। যার ফলে আর্তনাদ করতে থাকেন আলম৷ শুনতে পেয়ে আশেপাশের বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন৷ এবং তাঁরা আলমকে উদ্ধার করেন ওই গুন্ডাদের হাত থেকে। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগের তির বিজেপি সমর্থকদের দিকে।
আলম বলেন, “সদর বাজার লেনের কাছে ওরা আমাকে ঘিরে ধরে৷ কাউকে চিনি না। ফেজ টুপি খুলে ফেলতে বলে প্রথমে। আমি রাজি না হওয়ায় সপাটে থাপ্পড় মারে৷ মাথা থেকে টুপি ফেলে দেয়। তার পরে বলল, ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে হবে৷ আমি ওদের কথা শুনে চেঁচিয়ে বলি ‘ভারত মাতা কি জয়’৷ এর পরে ফের আমায় দিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর চেষ্টা করে ওরা৷ কিন্তু আমি কিছুতেই ওটা বলতে চাইনি৷ তাতেই আরও রেগে যায় আমায় ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় ওই যুবকেরা৷ লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়৷”
অভিযোগ পাওয়ার পরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে গুরুগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের জন্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’