২০১৭ সালের জুলাই মাসে, আদিবাসীদের গোমাংস খাওয়ার অধিকার নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২ বছর পরে গ্রেফতার হলেন ঝাড়খন্ডের সাকচি এলাকার জিতরাই হাঁসদা নামের এক আদিবাসী অধ্যাপক! এই ঘটনায় জানা গিয়েছে, সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র প্রভাবে কলেজ থেকে সাসপেন্ডও হয়েছেন ওই অধ্যাপক।
২ বছর আগে জিতরাই ওই পোস্টটি করার পরেই তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়। তখন তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর হঠাৎই রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ইচ্ছে করেই ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে জিতরাইকে। ভোটের আগে আদিবাসীদের চটিয়ে তাঁদের সমর্থন হারাতে চায়নি বিজেপি। তার পরে লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টি-ই পেয়েছে বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হলে এতটা ভাল ফল করা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হত না।
২ বছর আগে ফেসবুক পোস্টটি করার পরে তুমুল বিরোধিতা করেছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ(এবিভিপি)৷ তারা জিতরাইয়ের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে আঘাত করার অভিযোগ জানিয়ে থানায় এফআইআর করেছিল। সেইসময় গ্রেপ্তার করা না হলেও তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বস্তুত, বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এলেও, গো-রক্ষার নামে তাণ্ডব, দলিত ও মুসলিম নিগ্রহ দেশ জুড়েই চলছে৷ এই ঘটনা সে সব কিছু ছাড়িয়ে গেল। সরকারের গো-মাংস রাজনীতির বিরোধিতার জন্য এই প্রথম কোনও অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হল৷