শেষদফা ভোটের আগেই অমিত শাহের রোড শো ঘিরে তান্ডব দেখেছিলো কলকাতা। ইট ছোঁড়াছুঁড়ি, বাইক ভাঙচুর বাদ পড়েনি কিছুই। এমনকি তান্ডবের মাঝে পরে ভাঙা গিয়েছিলো বিদ্যাসাগর কলেজের ভেতরে থাকা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পুরোনো মূর্তিও। সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “ভোটের পরেই এই বিষয়টি তদন্ত শুরু হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই রাজ্য সরকারের তরফে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গার বিষয়টা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হলো। স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হলো সোমবার। কমিটিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা, জাভেদ শামীম এবং বিদ্যাসাগর কলেজের প্রিন্সিপাল।
লোকসভা ভোটের শেষ দফার ঠিক আগে, স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ভোট মিটতেই রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব করা হল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্যই পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ প্রায় ৫০টিরও বেশি ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই কলেজের কোনও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ পায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষের কথায়, পুরোনো একটি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরাগুলি যে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকত, তার ‘হার্ড ডিস্ক’ পুলিশকে দিয়েছিলেন তাঁরা। নতুন করে আর কোনো হার্ড ডিস্ক লাগানো হয়নি।
ঘটনায় তৃণমূল থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, সাধারণ জনগণ এমনকি দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের নামীদামী ব্যক্তিত্বরাও তীব্র আক্রমণ করেছিল বিজেপিকে। “বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর গেরুয়া শিবির”, এমনটাই অভিযোগ জানানো হয়েছিল তাঁদের পক্ষ থেকে।