সাধারণ মানুষের পরিষেবাকে কাঁচকলা দেখিয়ে বেতন বৃদ্ধির নির্লজ্জ ব্যাঙ্ক ধর্মঘট দেশজুড়ে। একে মাসের শেষ, তার ওপর দুদিনের ধর্মঘট জেরে ঝাঁপ বন্ধ ব্যাঙ্ক, এটিএম এর। স্বাভাবিকভাবেই বুধবার সকাল থেকে এটিএমের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। টাকার লেনদেন সমস্যাও শুরু হয়েছে হাসপাতাল নার্সিংহোম গুলিতে। এমনকি এই ধর্মঘটে ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক কাঠামো।
বেতন বৃদ্ধির সহ আরও কয়েক দফা দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
২ শতাংশ বেতন বাড়াতে চায় মালিকপক্ষ। কর্মী সংগঠনগুলো চাইছে অন্তত ৩০ শতাংশ বেতনবৃদ্ধি। এই টানাপোড়েনেই দু-দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। আর্থিক দায় ঝেড়ে ফেলতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেচে দিতে চায় কেন্দ্র। তথ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলির।
দফায় দফায় আলোচনার পরও বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই দু-দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। বেতন নিয়ে ব্যাঙ্ক মালিক ও কর্মীদের টানাপোড়েন অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বেতন বৃদ্ধির কথা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের। এপ্রিলে ২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব ব্যাঙ্ক মালিক সংগঠনের। অন্তত ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি কর্মী সংগঠনগুলোর। তিনবার বৈঠকেও সমাধান সূত্র মেলেনি।