লোকসভা ভোট ঘোষণার পরই গোটা রাজ্য জুড়ে যে গেরুয়া সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, গত ২৩ মে ফল প্রকাশের পর তা আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। বাংলায় ১৮টি আসন পাওয়ায় আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বিজেপি। আর তার ফলেই জেলায় জেলায় হাঙ্গামা শুরু করেছে দলের গুন্ডাবাহিনী। রবিবার থেকেই চলছে জোর জবরদস্তি করে তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলির দখল নেওয়ার কাজ। সেই ধারা বজায় রইল বীজপুর তথা কাঁচরাপাড়া জুড়ে। প্রসঙ্গত, দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের পুত্র বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর শুক্রবার এই ঘোষণার পরেই রাতারাতি কাঁচরাপাড়া এলাকার প্রায় সব তৃণমূল কার্যালয়ের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। বদলে দেওয়া হয় দেওয়ালের রঙও। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এ কাজের জন্য বিজেপি–র পক্ষ থেকে কার্যালয় পিছু ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণনা মিটতেই শুক্রবার শুভ্রাংশু রায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাবা মুকুল রায়ের জন্য গর্ববোধ করে বলেন, ‘আমাকে গদ্দারের ছেলে বলে বারবার অপমান করা হয়েছে। যে মুকুল রায়কে কাঁচরাপাড়ার কাঁচা ছেলে বলে সম্বোধন করা হয়েছিল, সে-ই নিজের হাতে গড়া তৃণমূলকে একা তছনছ করে দিল।’ আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার শুভ্রাংশু মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি এখন থেকে খোলা আকাশে মুক্ত।’ এরপরই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচরাপাড়া এলাকার তৃণমূল কার্যালয় ও ক্লাব দখলে নেমে পড়ে বিজেপি। নৈহাটি পুরসভার কাছে মহিলা তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। শনিবার কাঁচরাপাড়া সারদাপল্লী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে মোট ৩২টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে বীজপুর থানার পুলিশ। যা বিজেপির গুন্ডাবাহিনীই মজুদ করে রেখেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।