ঘুড়ি ওড়াতে তো আর পেট্রোল লাগে না। তাই মোদীজি ইন্দোনেশিয়ার আকাশে নিশ্চিন্তে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। টানা ১৬ দিন দেশের পরিবহন থেকে সমস্ত রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে, এখন মাত্র ১ পয়সা কমিয়ে তিনি বিদেশে দেশপ্রেমের ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। একেই বলে নির্লজ্জতার নিদর্শন। কারন কর্ণাটক ভোটের আগে প্রায় কয়েকদিন পেট্রোল-ডিজেলের কোনো রকম দাম বাড়ানো হয়নি। ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই টানা ১৬ দিন একটু একটু করে দাম বাড়িয়েই চলেছিল মোদী সরকার। কোনোদিন ৫ পয়সা, কোনোদিন ১ পয়সা, বা কোনোদিন ২ পয়সা। ৮০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। কাল থেকে ১ পয়সা দাম কমে যাওয়ায় দাম দাঁড়িয়েছে পেট্রোলের ৮১ টাকা ৫ পয়সা, ডিজেল ৭১ টাকা ৫ পয়সা। আর এই ১ পয়সা দাম কমিয়ে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন।
তাই সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানোর। কারন ঘুড়ি ওড়াতে পেট্রোল বা ডিজেল লাগে না।
কি করে একটু একটু করে দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাওয়ার বেবস্থা করছে মোদী সরকার। আজও এদেশের মানুষ মুদ্রা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারিনি। দর্বনি মূল্য আকাশছোঁয়া। কর্ণাটক হাতছাড়া হওয়ার পর বিজেপি যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে ভাবেই হল পুরো দেশটাকে খাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানো।মনে বাঁকা পথে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। যেমন জিএসটির পর দাম বেড়ে গেছে, যেমন মুদ্রা বাতিল করে মানুষের জীবন ধারণাটাকে নরক করে তুলেছে। ২০১৯ সাল আসার অনেক আগেথেকেই আমরা প্রমান পাচ্ছি।
১পয়সা দাম কমিয়েছে পেট্রোপণ্যের। তাতে সাধারণ ।মানুষের কোনো লাভ নেই। আসুন আমরা সমবেত ভাবে ঘুড়ি ওরাই। এমনিতেই প্রচারে ফানুস উড়িয়ে এতদিন দেদার ধপ দিয়ে গেছেন কেন্দ্র সরকার। ফানুস ফেটে গাছে। যা হলে আসুন আমরা সবাই ঘুড়ি ওড়াই।