বরাবরই ইভিএমের বিরোধিতা করেছেন তিনি। ইভিএমে ভোট বন্ধ করে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবিও করেছেন। উনিশের লোকসভায় গো-হারা হারের পর ফের একবার এই ইভিএম মেশিনের দিকেই আঙুল তুললেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। বিজেপির জয়কে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, ইভিএম মেশিনে কারচুপি করেই ভোটে জিতেছে মোদী সরকার।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছিলেন মায়াবতী। উনিশের লোকসভার আগে অখিলেশ যাদবের ‘সমাজবাদী পার্টি’ ও অজিত সিংয়ের ‘রাষ্ট্রীয় লোক দল’- এর সঙ্গে জোট বাঁধেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে এই জোটের নাম দেওয়া হয় ‘মহাগঠবন্ধন’। জোট গড়ার পর মায়াবতী, অখিলেশ, অজিত সিং হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এ বার উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি হবে বিজেপির। এই আঞ্চলিক দলগুলির জোটই কেন্দ্রে সরকার গড়বে বলে দাবি জানান তাঁরা। এমনকী ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মায়াবতী।
কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই দেখা গেল, মহাগঠবন্ধনের অবস্থা শোচনীয়। উত্তরপ্রদেশে ৮০-টার মধ্যে ৬০-এর উপর আসন পেয়েছে বিজেপি। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়াবতী বলেন, “গোটা দেশ ইভিএমের বিরোধিতা করছে। এ দিনের পর থেকে সেটা আরও বেড়ে গেল। বিজেপি ইভিএম মেশিনে কারচুপি করেই ভোটে জিতেছে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগনের বিজেপির ওপর বিশ্বাসটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি কেউই ব্যালট পেপার আনতে চায় না। নিশ্চয় গভীর কোনও চক্রান্ত আছে। ঠিক মতো ভোট গণনা হলে ‘মহাগঠবন্ধন’- এর এই ফল হয় না।”
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বারবার সপা-বসপার তরফে দাবি করা হয়েছে, ৫০-এর বেশি আসন তাদের জোট পাবে। বাকি সিট অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোক দল ও কংগ্রেস পাবে। বিজেপির আসন সংখ্যা থাকবে শূন্য। কিন্তু ঘটনাচক্রে হলো উল্টো। আর তারপরেই জোট শিবির থেকে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। শুধু মায়াবতীই নন, তাঁর জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও টুইট করে ভোটিং মেশিনের উপরেই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনিও সন্দেহ করছেন নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির গোপন আতাঁতের।