২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, আর তার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদল আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপির কাছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম-সহ একাধিক জেলায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বাড়ি-ঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। কোথাও দলীয় কার্যালয়ও দখলের চেষ্টা চলছে৷ আর প্রতিক্ষেত্রেই কাঠগোড়ায় তোলা হল বিজেপিকে।
সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জয়দীশ বর্মা বসুনিয়ার অভিযোগ, “কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত একমাত্র সিতাই বিধানসভাতেই ৩৪ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড পেয়েছে তৃণমূল। সেই কারণেই এই হামলা। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। উত্তেজনার খবর স্বীকার করে নিয়েছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার অমিত কুমার সিং৷ এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এছাড়া, বিজেপির হামলার ঘটনায় একাধিক তৃণমূল কর্মী আহত হওয়ার খবর এসেছে। ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর।
ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ আসনই গিয়েছে বিজেপির দখলে। অভিযোগ, তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে তৃণমূলকর্মীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত হওয়ার ফলে ওই মহিলার হাত ভেঙে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।