বাংলায় এটা কি শুধুই মেরুকরণ? নাকি রামের এই দ্রুত গতিতে এগোনোর পেছনে বামেদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত আছে? দ্বিতীয়টাই সত্যি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে দেশজুড়ে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল বাংলা যে তার থেকে বিচ্ছিন্ন নয় তা ভোট বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছিলেন। বাংলার জমিতে মেরুকরণের তীব্রতা যে ষোল আনা তা টের পাওয়া যাচ্ছিল গত প্রচারের সময়েও। বিষ্যুদবার ইভিএম খুলতেই দেখা গেল প্রাথমিক ফলাফলের ট্রেন্ডও তাই। বাংলায় তৃণমূলকে জোর টক্কর দিচ্ছে বিজেপি।
তবে এই টক্কর দেওয়ার জন্য কোমরের জোরটা বিজেপি জোটাচ্ছে বামেদের থেকেই। সবে প্রথম কয়েক রাউন্ড গণনা হয়েছে। তাতে বাংলায় তৃণমূল পেয়েছে ৪৪.৯ শতাংশ ভোট।
বিজেপি পেয়েছে ৩৮.৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস সাড়ে পাঁচ শতাংশ ও বামেরা পেয়েছেন মাত্র সাড়ে ছয় শতাংশ ভোট। অর্থাৎ মাত্র তিন বছর আগে বিধানসভা ভোটের তুলনায় প্রায় তিরিশ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে ফেলেছে বিজেপি। এবং কমেছে কার ভোট? বামেদের। ষোলো সালের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার ফলে বামেরা যে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তা ধুয়ে মুছে খাদের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন বামেরা। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও ২৯.৭১ শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল বামেরা। এবার সেটা পুরোটাই চলে গেছে বিজেপির ঝুলিতে।
অর্থাৎ বাংলায় গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত ভোট বিজেপির পকেট ভোট নয়। বামেদের ভোটেই এই বঙ্গে তাদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে।