রাত পোহালেই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য কে দিল্লীর মসনদে পা রাখবেন সেও ঠিক হয়ে যাবে। আর তার আগেই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের তান্ডব যেন কমছেই না। বারবার বিজেপি সমর্থকদের অত্যাচারে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর বিজেপির এই নির্বাচনে অন্যতম স্লোগান ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দলের সমর্থকদের একপ্রকার বাধ্যই করে গেছে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে গলা মেলাতে। আর না মেলালেই চলছে অত্যাচার। এইবার সেই অত্যাচারের স্বীকার হলেন এক তৃণমূল নেতাকে। জয় শ্রীরাম বলতে জোর করতে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হল এই নেতাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির ভাদুতলায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভাদুতলার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেয় প্রায় ৫০ জন দুষ্কৃতি। এরপরই বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে তারা। সেসময়ই পঞ্চানন চক্রবর্তীকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করে তারা। কিন্তু তা বলতে রাজি না হওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকী বাদ যাননি পরিবারের মহিলা সদস্যরাও। তাঁদেরও শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
মাথা ফেটে যায় পঞ্চানন চক্রবর্তীর। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এলাকাবাসীরা ক্ষোভের সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, কে কী বলবে, সেটায় জোর করা যায় না। তাহলে কেন ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে এই গুন্ডাগিরির পথ বেছে নেওয়া হচ্ছে? বারবার এইরকম অত্যাচার চলেছে মানুষের ওপর। মানুষের স্বাধীনতার ওপর জোর খাটানোর রাজনীতিতে মেতেছে গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা।