বিজেপির নেতৃত্বে আরও একটি এনডিএ সরকার রুখতে এ বার আসরে নেমে পড়লেন ন্যশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি নেতা শরদ পাওয়ারও।
মুম্বই থেকে তাঁর ফোন গেল ভুবনেশ্বরে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতা নবীন পট্টনায়কের কাছে। ফোনে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গেও কথা বললেন পওয়ার। প্রবীণ এনসিপি নেতার ফোন পৌঁছল ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডির কাছেও। ফোনে চন্দ্রবাবুর সঙ্গেও প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন পওয়ার।
আগামী কাল থেকেই বেরতে শুরু করবে লোকসভা ভোটের ফলাফল। পওয়ার, চন্দ্রবাবুর লক্ষ্য, এগজিট পোলগুলি ভুল প্রমাণিত হলে যেন এনডিএ-র বাইরে থাকা অ-কংগ্রেসি দলগুলিকেও পাশে না পেয়ে যায় বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে ওই দলগুলির সমর্থন জোগাড় করে ফেলে যেন কোনও ভাবে বিজেপি না সরকার গড়ে ফেলতে পারে কেন্দ্রে।
শেষ দফার ভোটের দিন থেকেই বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যোগাযগের সেই কাজটা শুরু করে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু। নিজের রাজ্য ছেড়ে তাঁকে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, কর্নাটকে। এরই মধ্যে দিল্লীতে সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসেছেন তিনি। লখনউয়ে ছুটে গিয়ে চন্দ্রবাবু দেখা করেছেন বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) নেত্রী মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টি (সপা) নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতাতেও ছুটে এসেছেন চন্দ্রবাবু।
বিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তার পরেও কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছিল। যা ভরাট করতে এ বার আসরে নেমে পড়লেন বর্ষীয়ান পাওয়ার। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সরকার গড়ার প্রয়োজনে বিরোধীদের একজোট করতে যে তিন রাজনৈতিক নেতার কাছে এখনও পর্যন্ত পওয়ারের ফোন পৌঁছেছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, চন্দ্রবাবুর দুই কট্টর প্রতিপক্ষ তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বা ‘কেসিআর’ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন রেড্ডি। ফলাফল ঘোষণার পর যদি দেখা যায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ-র একটি স্থায়ী সরকার গড়ার ক্ষমতা রয়েছে, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক মহলের খবর, সে ক্ষেত্রে ইউপিএকে সমর্থনের ব্যাপারে নবীন এবং কেসিআর দু’জনেই আশ্বস্ত করেছেন পওয়ারকে।