ভোট পরবর্তী বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ৩০০ এর বেশি সিট নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদীই। কিন্তু এই সমীক্ষাগুলিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে ইভিএমে যাতে কোনও কারচুপি কেউ না করতে পারে সেজন্যে কর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ভোট পরবর্তী সময়ে যখন ইভিএমে কারচুপি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা, ঠিক সেই সময় ভোট গণনাতে নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, এই রাজ্যের ৫৮টি কেন্দ্রে গণনা হবে। ওইসব গণনা কেন্দ্রের জন্য ১৪৪ জন পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তাঁদের নজরদারিতেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে। যদিও মাত্র ৫৮ জন পর্যবেক্ষক চেয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। কিন্তু কমিশন মুখ্য সেই আবেদন খারিজ করে প্রায় আড়াইগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।
মূলত গণনা হবে চারটি পদ্ধতিতে। ১) প্রথমে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গণনা হবে। ২) এরপর গণনা করা হবে সার্ভিস ভোটারদের ভোট। ৩) এরপরই ইভিএমের ভোট গণনা করা হবে। ইভিএমের সঙ্গে থাকা কন্ট্রোল ইউনিট নিয়ে আসা হবে স্ট্রং রুম থেকে। ইভিএম এর ভোট ১৭ থেকে ২০ রাউন্ডে গণনা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনও কন্ট্রোল ইউনিট বিগড়ে যায়, তখন তার ভিভিপ্যাটের গণনা করা হবে। ৪) কন্ট্রোল ইউনিটের গণনা শেষ হয়ে গেলে শুরু হবে ভিভিপ্যাটের গণনা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট স্ট্রং রুম থেকে নিয়ে আসা হবে কাউন্টিং হলের ভিতরে। ভিভিপ্যাটের পেপার গণনা করে ইভিএমের সঙ্গে মেলাবেন গণনা কর্মীরা।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি রাউন্ডের গণনার পর সব রাজনৈতিক দলের এজেন্টের সই নিতে হবে। তবে ভিভিপ্যাটের গণনার জন্য এবার বেশি সময় লাগতে পারে বলে খবর।