সপ্তদশ নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটগ্রহণে সারা রাজ্যের ৯ টি কেন্দ্রে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে কিছু জায়গায়। সকাল থেকেই ইভিএম কারচুপি, ছাপ্পা ভোট, টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা একাধিক অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে পুলিশের পোশাকে ভোট করাতে গিয়ে ধৃত এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে হাড়োয়া এলাকায়।
রবিবার সকালে পুলিশের গাড়িতে উর্দি পরে এক ব্যক্তি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের হাড়োয়ার বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর বুথে হাজির হন। অভিযোগ, ভোটের লাইনে থাকা দৃষ্টিশক্তিহীন ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে বুথের ভিতর ঢুকছিলেন তিনি। তাঁর আচরণে সন্দেহ হয় বুথের বাইরে থাকা তৃণমূল কর্মীদের। নিছকই সন্দেহের বশে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর তাকে বুথে কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর জওয়ানদের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
সেনাবাহিনীর জওয়ানরা জেরা শুরু করে ওই ব্যক্তিকে। চাপের মুখে ভেঙে পড়েন তিনি। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম বাবুর আলি শেখ। বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেরই মালতিপুরে। যাত্রাদল থেকে পুলিশে উর্দি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই উর্দি পরেই বুথের চত্বরে ঘোরাফেরা করছিলেন বাবুর। ছাপ্পা ভোটও দিচ্ছিলেন। পুলিশের দাবি, জেরায় বাবুর আলি শেখ স্বীকার করেছেন যে, বিজেপির নির্দেশেই পুলিশের উর্দি পরে হাড়োয়ার বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এইভাবে একাধিক ছাপ্পা ভোটের ঘটনা সামনে এসেছে। কাঠগড়ায় গেরুয়া শিবির।