পাঁচ বছরের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকার গঠনের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সাট্টা বাজারের উদাহরণ টানেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে পাশে বসিয়ে মোদী বলেন, ‘চোদ্দ সালের ১৭ মে একটি ক্যাজুয়ালটি সামনে এসেছিল। সাট্টা বাজার বলেছিল কংগ্রেস ১৫০টি আসন পাবে। আর বিজেপি-র জন্য সাট্টাখোররা ধরেছিল ২১৮-২৭৫টি আসন। কিন্তু সেই সাট্টাবাজারকে ধাক্কা দিয়ে দিয়েছিল দেশের জনতা।‘
মোদীর এহেন মন্তব্যে অনেকেই ভ্রু কুঁচকোচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ভারতবর্ষে সাট্টা বা বেটিং নিষিদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীকে কেন সেই প্রসঙ্গ টানতে হল? এ দেশে লুকিয়েচুরিয়ে যে সব বেটিং চক্র চলে তার সবটাই বিদেশি ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে। কত ক্রিকেটারের কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে এই চক্রে জড়িয়ে। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে উদাহরণ করে নিজের সরকার গঠনের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন?
তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘এটাই বিজেপি-র সংস্কৃতি। সমাজের আলোর দিক নিয়ে ওরা কথা বলতে পারে না। একজন প্রধানমন্ত্রী যদি সাট্টাবাজারের প্রসঙ্গ টেনে সরকারে আসা না আসার প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করেন তার মতো লজ্জার আর কিছু নেই। এই প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা’!
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তির সঙ্গে সাট্টাবাজারের মন্তব্য খাপ খায় না। এ তো পাড়ার চায়ের দোকানের আড্ডার ঠেক নয়। শাসক দলের সদর দফতরে বসে প্রধানমন্ত্রীর মতো পদমর্যাদার একজন সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। গোটা দেশ দেখছে। সেখানে এই ধরনের প্রসঙ্গ টানা একেবারেই সমীচীন হয়নি।