বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রাম থেকে ক্ষীরপাইয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব কিলোমিটার সাতেক। গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙার পরে গোটা বাংলার সঙ্গে সেখানেও নিন্দার ঝড় ওঠেছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনে করছেন এই ভাবে মূর্তি ভেঙে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে খুন করা হয়েছে। খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে। তাই অরন্ধন পালন করে শোক প্রকাশ করেছে পরিবার।
শুধু তাই নয় শাস্ত্রবিধি মেনে শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে পারলৌকিক ক্রিয়া। এ দিন পারলৌকিক কাজের সময় ঈশ্বরচন্দ্রের ছবির পাশে স্ত্রী দীনময়ী দেবীর ছবিও রাখা হয়। শ্রাদ্ধশান্তি শেষে ব্রাহ্মনভোজনও হয়। যেভাবে বিদ্যাসাগরের হামলা করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছেন।
কিলো দশেক কাঠ পুড়িয়ে হোম, গীতা পাঠ-সহ যাবতীয় নিয়ম মেনেই ঘন্টা তিনেক ধরে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। নিমন্ত্রিত ছিলেন ৫০ জন। সকলের জন্য মিষ্টিমুখের আয়োজনও ছিল। বিদ্যাসাগরের শ্বশুরবাড়ির সদস্য গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “কলকাতার বুকে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত কলেজে যে তাঁর মূর্তি এ ভাবে ভাঙা হতে পারে, তাআমরা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। এতে যে পাপ হয়েছে, তা দূর করতেই বিদ্যাসাগরের আত্মার শান্তি কামনায় আমরা পারলৌকিক ক্রিয়াদি করলাম।”
বাড়ির সদস্যেরা জানাচ্ছেন মূর্তি ভেঙে অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করেছে বিজেপি। এভাবে বাঙালি জাতির ওপর যে আঘাত হেনেছে গেরুয়া শিবির মানুষই এর যোগ্য জবাব দেবে তাঁদের।