সপ্তম দফার ভোটের ঠিক আগেই জনপ্রিয় সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল। মুহূর্তে যা ভাইরাল হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এনডিএ জোট পাচ্ছে ১৭৭, ইউপিএ ১৪১ এবং মমতা নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দলগুলি ২২৪। এই ফলাফল সামনে আসতেই দিল্লীতে গেরুয়া শিবিরের সদর দফতরে কাঁপুনি ধরে গেছে।
শেষ দফা ভোটের আগে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা প্রতি জনসভায় ‘ইতিমধ্যেই ৩০০ পার হয়ে গেছে’ বলে ‘জুমলা’ ছুঁড়ছেন। সেই সময় একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে ভুলবশত প্রচার হয়ে যাওয়া ২০১৯-এর এক্সিট পোলের ফলাফল প্রভূত প্রভাব ফেলেছে। যদিও আরএসএস অন্তর্বর্তী সমীক্ষায় এমনই উদ্বেগজনক ফলাফলের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তা আবার স্থানীয় নাগপুর টাইমস সংবাদপত্র ফাঁস করে দেয়।
একাধিক বিদেশি সংস্থার করা এক্সিট পোলেও একই চিত্র ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কখনই ১৮০ পার হবে না এনডিএ এবং সরকার গড়বে আঞ্চলিক দলগুলি। তবুও মোদী এবং তাঁর দলবল বুক ঠুকে আসল সত্যকে গোপন করে দেশজুড়ে ৩০০, ৪০০ কখনও ৫০০ অবধি উঠে গেছে।
এদিন সকালে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ তাদের চ্যানেলে এক্সিট পোল দেখানো শুরু করে। কয়েক মিনিটেই ওই সম্প্রচারে পরিষ্কার ৫৪০ টি লোকসভা আসনের ফলাফল দেখা যায়। স্ক্রিন জুড়ে দেশের মানচিত্র আর একদিকে এক্সিট পোলের ফলাফল। সেখানে পরিষ্কার লেখা, এনডিএ দাঁড়িয়ে আছে ১৭৭ আসনে। অন্যদিকে গতবারের তুলনায় ৭৮ টি আসন বেশি পেয়ে ইউপিএ ১৪১ আসনে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে গতবারের তুলনায় ১৯১ আসন বেশি পেয়ে আঞ্চলিক এবং অন্যান্য দলগুলির মিলিত আসন সংখ্যা ২২৪।
দেশজুড়ে ৫৪০ টি লোকসভা আসনের সমীক্ষা করা এই এক্সিট পোলের রিপোর্টটি দেখানোর কথা ছিল ১৯ তারিখের পর। কিন্তু ভুলবশত এদিন কয়েক মিনিটের সম্প্রচার হয়ে যায়। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে এই ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হলেও যে কাঁপুনি বিজেপির সদর দফতরে শুরু হয়েছে তা এখনও থামেনি।