ক্ষমতায় আসার আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেই কথা মত কাজ তো হয়ইনি, উল্টে সমীক্ষা অনুযায়ী গত ৪৫ বছরে মোদী জমানাতেই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্বের হার। সেই হতাশা থেকে গ্র্যাজুয়েশন গাউন গায়ে পকোড়া ভেজে মোদীর বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন ছাত্রছাত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশের সামনে স্নাতকের পোশাক পরে পকোড়া বিক্রি করলেন কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। নাম দিলেন ‘মোদীজি কে পকোড়ে’। মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে বিজেপি প্রার্থী কিরণ খেরের সমর্থনে এক নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সভার অদূরেই অস্থায়ী ঠেলা গাড়িতে তেলেভাজা বিক্রি শুরু করে বি. টেক, বি.এ, এলএলবি ডিগ্রিধারী ওই কলেজ পড়ুয়ারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তাদের আটক করে স্থানীয় পুলিশ। অবশ্য মোদীর সভা শেষের পরেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এক মহিলা প্রতিবাদী বলেন, ‘পকোড়া যোজনায় মোদীজি আমাদের যে নয়া কর্মসংস্থান করেছেন, সে জন্য তাঁকে এখানে স্বাগত জানাতে এসেছি। মোদীর সভায় আমরা পকোড়া বেচতে চাই, যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে একজন শিক্ষিত যুবার জন্য পকোড়া বিক্রি করাটা কতটা মহান কাজ। উনি তো ২ কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন তা করতে পারেননি বলেই হয়তো পকোড়া ভাজতে বলেছেন’।
এই দৃশ্যের ভিডিও এক নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় এক প্রতিবাদীকে চিত্কার করে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ইঞ্জিনিয়ারদের তৈরি পকোড়া খেয়ে যান’। প্রসঙ্গত, গত বছর জানুয়ারি মাসে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, পকোড়া বিক্রি করে দিনে ২০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। পাশাপাশি, সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে বেকারত্বের হার শেষ ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফলে দেশের শিক্ষিত যুবক যুবতীদের মধ্যে একটা হতাশা ক্রমবর্ধমান। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে অভিনব এই পন্থা অবলম্বন করেন কলেজ পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগের এক সমীক্ষায় দেখা গেছিল গত ৪৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব এসেছে মোদী জমানাতেই। অন্যদিকে মমতার বাংলায় বেকারত্ব হ্রাস পেয়েছে ৪০%। শুধু তাই নয় মোদীর জমানায় যখন কৃষকদের হাল রোজ খারাপ হয়েছে। সমস্ত দেশ মোদীর ওপরে যখন বীতশ্রদ্ধ তখন এই অভিনব প্রতিবাদ যেন মোদী বিরোধী হাওয়াকে আরও জোরদার করে দিল।