‘ভারতের অর্থনীতির কাঠামোয় ধরতে পারে মন্দার রোগ। দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয়ও মাঝারি স্তরেই আটকে থাকবে।’ বাইরের কেউ নয়। দিন কয়েক আগেই এমন কথা বলে মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, শীঘ্রই দেশের অর্থনীতি ‘মাঝারি আয়ের ফাঁদ’-এ পড়তে পারে। আর এবার ভোটের মধ্যেই ফের মোদী সরকারকে ধাক্কা দিল অর্থনীতির পরিসংখ্যান। শুক্রবারই পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, মার্চে শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমেছে ০.১ শতাংশ। আর এবার তারা জানাল, এপ্রিলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২.৯২ শতাংশে। গত ছ’মাসে যা সর্বাধিক।
প্রসঙ্গত, সুদের হার স্থির করতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের লক্ষ্য, মূল্যবৃদ্ধিকে ৪ শতাংশ হারে (+/-২) বেঁধে রাখা। গত দু’বার ঋণনীতিতে সুদ কমিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু এভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার চড়তে থাকলে আগামী দিনে সুদ কমানোর পথে তারা আর নাও হাঁটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষত যখন সোমবারই মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যের দর বাড়ার হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে। গত দু’বছরে তা ছিল আরবিআইয়ের লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান জানিয়েছে, মূলত আনাজ, মাছ, মাংস ও ডিমের মতো খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার জেরেই মূল্যবৃদ্ধি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। চিন্তা বাড়িয়েছে তেলের দরও।