অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি মহাজোটের রাশ যে মমতার হাতেই সেটা আরও একবার প্রমান হয়ে গেল। সপ্তম পর্বের ভোট শেষ হওয়ার পরেই ২১ মে দিল্লিতে ২১টি বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী রাজি না হওয়ায় সেই বৈঠক স্থগিত হয়ে গেছে। তার পরিবর্তে এই বৈঠক হবে ২৩ মে নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১ মে দিল্লিতে বিরোধী শিবিরের বৈঠকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতা তাঁকে সাফ জানিয়েছেন, ফল প্রকাশের আগে সরকার গড়ার আলোচনা অর্থহীন। তাছাড়া ভোট গণনার সময় তিনি রাজ্যে থাকতে চান। গণনার আগে দলের এজেন্টদের প্রশিক্ষণের বিষয় রয়েছে। তাই বৈঠক হোক ২৩ মে–র পর। বসপা নেত্রী মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির কর্তা অখিলেশ যাদবও নাইডুর আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। অনেকে মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা ও মায়াবতীর নাম আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। এগিয়ে রয়েছেন মমতা। তাঁর দলের সমর্থক, কর্মী ও নেতারা তাঁকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন। সমর্থকদের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই ফল ঘোষণার আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন না তাঁরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে ‘প্রয়োজনের থেকে বেশি’ গুরুত্ব দিতে নারাজ। সেই তুলনায় তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে। গোটা বাংলা, তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক ও নেতারা মমতাকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। মমতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রে অ–কংগ্রেস, অ–বিজেপি সরকার গড়তে উদ্যোগী তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।