কোনওভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। এমনকী সংখ্যা জোগাড় করেও সরকার গঠন করতে পারবে না। এমনটাই মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজ করেও বিজেপি সরকার করতে পারবে না। যা হওয়ার হয়ে গেছে। মহাজোটের সরকার হবে। নবীন পট্টনায়ক, কেসিআর এবং জগনমোহন রেড্ডিরও সমর্থন পাব। তাঁদের সঙ্গে আমার ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গেছে’।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে দুটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিজেপি ১৫০ থেকে ১৬০–এর বেশি আসন পাবে না। তবে কংগ্রেসের থেকে বেশি পাবে। কংগ্রেস পাবে ১২৫ থেকে ১৩০টি আসন। আঞ্চলিক দলগুলি অনেক বেশি আসন পাবে। কংগ্রেসকে সমর্থন করতে হবে আঞ্চলিক দলগুলিকে’।
মোদী বিরোধী মহাজোটের ‘মুখ’ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মেনে নিয়েছেন বিরোধীরা। তিনি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কী করতে হবে সেই নির্দেশ দিচ্ছেন। আর এই ভূমিকা যে তিনি দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন, সেটা বোঝা গেছে, যখন মমতা মমতা বলছেন, ‘২১ মে দিল্লীতে বিরোধী দলের বৈঠক হচ্ছে না। ২৩ মে ফল প্রকাশের পরেই আলোচনা হবে। সেখানেই ঠিক হবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ প্রসঙ্গত, আগে ঠিক ছিল, ২৩ মে ফল প্রকাশের দু’দিন আগে ২১ তারিখ বিরোধীরা দিল্লীতে বৈঠকে বসবে।
এবারের ভোটে আঞ্চলিক দলগুলি বিজেপি–কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট পাবে বলেই মমতার দৃঢ় বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলিকে সমর্থন করতে বাধ্য হবে, এটা আমি বলছি না। তবে আমরা চাই, দেশে স্থায়ী সরকার তৈরি করতে। মহাজোট কেন হবে না? আমরা তো একসঙ্গে কাজ করছি। মোদীকে আমরা আর আসতে দেব না। তবে আমার সন্দেহ হচ্ছে, ইভিএমে ওরা কারসাজি না করে!’
অনেকেই বাঙালি হিসেবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। মমতা অবশ্য বলেন, ‘আমি একটু অন্যরকম। নির্বাচনের পর সকলকে নিয়ে বসা হবে। মতামত চাওয়া হবে। তখনই নেতা ঠিক হবে। নিজেরটা নিজের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না।’ সাক্ষাৎকারেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ওনার ভাষা খুব খারাপ। ভাষায় দিশা নেই। সবাইকে চোর বলছে। রাহুল গান্ধী আর ছোট্ট মেয়ে প্রিয়াঙ্কাকেও ওরা ছাড়ছে না।’