চলতি লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ নিয়ে আরও একবার ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী’। একইসঙ্গে প্রশাসনকে তাঁর নির্দেশ, যা বলবে সব মানবেন না।
সোমবার নামখানার প্রচার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্মান করি। কিন্তু বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছে। আমি দুঃখিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করছি না। কয়েকটা লোককে বলছি। কে মিস্টার আরকে মিত্র? তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমেই অভিযোগ করেছি। ওনার বউ শ্রীরূপা মিত্র মালদহ দক্ষিণে লড়াই করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করছেন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। রাজ্য পুলিশের ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে’।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তাঁর বার্তা, ‘নিয়ম অনুযায়ী কাজ করুন। গ্রামে ঢুকে লোক মারতে যাবেন না, এটা আপনার কাজ নয়। গ্রামে ঢুকে মহিলাদের মারতে যাবেন না, এটা আপনার কাজ নয়। বুথের ভিতরে ঢুকে লোক মারতে যাবেন না, এটা আপনার কাজ নয়। এটা রাজ্য পুলিশ দেখবে। তারাও ভিতরে ঢুকতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে।’
প্রশাসনকেও এদিন বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের যাঁরা আছে দেখে রাখবেন, আপনার চোখের সামনে তাঁরা গায়ে হাত দিচ্ছে কীভাবে? আপনারা কেন ভয় পাচ্ছেন? কাকে ভয় পাচ্ছেন? রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুন। যে যা বলে দেবে করতে হবে না। আমরা মরে যাইনি। ওদের চমক ধমকে ভয় পাবেন না’।
আগের দিনই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তোপ দেগে মমতা আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, আরএসএসের লোক ঢুকে থাকতে পারে বাহিনীতে। বলেছিলেন, ‘বেছে বেছে আধা সামরিক বাহিনী আনা হয়েছে। মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তিনি রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন করছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে আরএসএসের লোককে ঢুকিয়ে দিয়েছে কিনা সন্দেহ। কেশপুরে গুলি চালিয়েছে। কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের বলছে, মোদীজিকে ভোট দাও। পাঁচ জায়গায় হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তুমি কে হরিদাস? তুমি আজ আছ মোদীর নিয়ন্ত্রণে? কাল কোথায় যাবে?’