‘ভাগ্নে’ এখন পুলিশ হেফাজতেই। তবে গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগিয়েই নির্বিঘ্নে ঘুরে বেরাচ্ছেন ‘মামা’। হ্যাঁ, ভারতে ব্যাঙ্ক প্রতারণা করে পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদী এখন লন্ডনের জেলে। ওয়েস্ট মিনিস্টার আদালতে তিন-তিনবার খারিজ হয়ে গেছে তাঁর জামিনের আবেদন। তবে ওই একই মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে গ্রেফতার করতে আবারও বিফল মোদী সরকার। কারণ তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল অ্যান্টিগা সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণার ফলে গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধারকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভারতের যাবতীয় প্রচেষ্টা বড়সড় ধাক্কার মুখে৷
এক সর্বভারতীয় সংবাদমধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অ্যান্টিগা জনিয়েছে, এখনই পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরেই চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অ্যান্টিগার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল কেন্দ্র সরকার। গত মার্চ মাসে ‘দ্য সানডে টাইমস’-এর সাংবাদিক জন আর্লিজ এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিলেন, মেহুল চোকসির পাসপোর্ট বাতিল করেত পারে অ্যান্টিগা সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যান্টিগার পাসপোর্ট পেতে করা আবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই বলে জানিয়েছিলেন মেহুল। যা সর্বৈব মিথ্যা।
যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছিলেন চোকসি। প্রসঙ্গত, পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসি। তদন্ত শুরু হতে দেশ ছাড়েন তিনি। তারপরই ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পান মেহুল। যেহেতু অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই তাই আইনের হাত এড়াতেই এই পথ নেন গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধার। তবে আইনজীবী মারফত পাঠানো একটি চিঠিতে ফেরার এই ভারতীয় শিল্পপতি জানিয়েছিলেন, সমস্ত আইন মেনেই তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তারপরেই সেই আবেদন গৃহীত হয়। এখন যদি অ্যান্টিগার পাসপোর্ট বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে কি চোকসিকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করা যাবে? তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে এই ঘোষণা সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে।