গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হল এই দফাও। গতকাল নির্বাচন ছিল বাঁকুড়া কেন্দ্রেও। বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সকাল থেকে মানুষ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিলেন, তা দেখে আত্মবিশ্বাসী সুব্রত। তিনি জানালেন, জয় নিশ্চিত।
সকাল ৮ টায় তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি দেখতে। প্রথমেই যান, তালডাংরা এলাকায়। সেখানে খেলা করছিল কিছু ছেলেমেয়ে, তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে তিনি বললেন, “তোদের বাবা-মা ভোট দিতে গেছে? বলিস জ্যেঠু বলেছে সকাল সকাল ভোট দিতে, খুব রোদ”। তারপর সেখানে কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর তিনি যান সিমলাপাল ব্লকে। সর্বত্রই তাঁর নজরে পড়েছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির সামনে মানুষের লম্বা লাইন। তিনি কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গন্ডগোল, অশান্তি দেখতে পাননি। শান্তিতে ভোট হচ্ছে দেখে তিনি খুশি। সিমলাপাল থেকে তিনি সোজা ফিরে আসেন বাঁকুড়া শহরে। শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডগুলিতে তিনি ভোটগ্রহণ দেখতে যান। দুপুরে তিনি ফিরে আসেন জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে।
সুব্রত অভিযোগ জানিয়েছেন ইভিএম গোলযোগ নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, ভোটগ্রহণ শুরুর সময় দেখা যায়, বেশ কিছু বুথে ইভিএম মেশিন অচল হয়ে পড়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ইভিএম মেশিনগুলি পরীক্ষা করে ভোটকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত মেশিন কী করে খারাপ হতে পারে, তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। সুব্রত বলেন, ‘কেন এত মেশিন অচল হয়ে পড়ল, তা দিল্লির কর্তারা বলতে পারবেন। কেন না, তাঁরাই তো এই বিষয়টি ভাল করে জানেন।’ তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকের নজরে আনেন। তাঁরা অবশ্য পরে তাঁকে নিশ্চিত করেন, যে ইভিএম মেশিনগুলি খারাপ হয়ে পড়েছিল, পরে অনেকগুলিকে সচল করা সম্ভব হয়েছে। যেগুলি সচল করা যায়নি, সেখানে নতুন মেশিন দেওয়া হয়েছে।
বয়সকে হার মানিয়ে গরমকে উপেক্ষা করে প্রথম দিন থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন সুব্রত।প্রচারের সময় রোদ থেকে বাঁচতে টোটকা হিসাবে পাঞ্জাবির পকেটে থাকত ছাঁচি পেয়াজ, গতকাল ছিল রক্ষাকালীর ফুল।এতদিন যেখানেই সভা কিংবা রোড শো করতে গেছিলেন সেখানেই বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন তিনি। মানুষ আপ্লুত তাঁকে পেয়ে। তাই জয় যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা জানেন সাধারণ মানুষও।