গতকাল, রবিবার ছিল ভোটপুজোর ষষ্ঠী। আর ও’দিন সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে রাজ্যে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাল বিজেপি। এবার মানুষকে চমকে-ধমকে কার্যত ভোট লুঠ করতে চাইল বিজেপি। হ্যাঁ, গতকাল ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের ৮ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণে একাধিক জায়গায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে গোলমাল-হাঙ্গামার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে ৫টি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কেশপুরের দোগাছিয়ায় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল সমর্থক। বিভিন্ন ঘটনায় জখম হয়েছেন মোট ২৬ জন। গুলিবিদ্ধ ৩ জন।
রবিবার দফায় দফায় কেশপুরে গোলমাল চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে কাঁথি লোকসভার ভগবানপুরের হিঞ্চাগেড়িয়ার ২৫৮ নম্বর বুথে অশান্তি হয়। বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। ময়নার বাকচাতে বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরের বেলদায় তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে বিজেপির সমর্থকেরা হামলা চালায়। যাতে ৪ তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। শুধু তাই নয়, বেলদায় তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আবার, শালবনিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে ভোট দিতে ‘চাপ’ দিয়েছে বলে অভিযোগ করে খোদ ভোটাররাই। বিষ্ণুপুরের বড়জোড়ায় ২২৬ নম্বর বুথেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়ার হাতিপাতা গ্রামে বিজেপি সমর্থকেরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের ২ জন জখম হন। অন্যদিকে, পুরুলিয়ায় তৃণমূল জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অভিযোগ করেন, বলরামপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে ভোট দিতে মানুষকে প্রভাবিত করেছেন।
খণ্ডঘোষের উখরিদ হরিজন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১০ নম্বর বুথে ইভিএমে যে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ তোলে খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল। ঘণ্টা দেড়েক ভোটপর্ব বন্ধ রেখে ইভিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। তারপর ফের ভোট শুরু হয়। গোপীবল্লভপুরের ৭ নম্বর অঞ্চলের ভাতিণ্ডা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ড. আরিজ আফতাব সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
অন্যদিকে, আইজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ঘটনায় ২৬ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৩ জন। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি-সহ ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ৫টি এফআইআর হয়েছে।