‘১৪২৬, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ।’ শনিবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে আয়োজিত জনসভা থেকে আবারও এই স্লোগান তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন বাংলা থেকে একটি আসনও পাবে না জিততে মরিয়া গেরুয়া শিবির। গতকাল বরাবরের মতোই বিজেপি ও মোদী-শাহদের আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘গরু হারিয়ে গেলে যেমন কৃষকের প্রায় মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার দশা হয়, তেমনই হেরে যাওয়ার ভয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
গতকালের সভায় মমতা বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিকল্পিত যোজনা কমিশনকে তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ শুরু করেছিলেন মোদী, যার কোনও নৈতিকতা নেই। গুজরাতের ১৭টি সমুদ্র বন্দর প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য, ‘আমার বাংলায় ১৭টা বন্দর থাকলে বাংলাকে আমি ডায়মন্ড বানাতাম।’ খরচ ইস্যুতে মোদীকে তাঁর প্রশ্ন, ‘১০ কোটি টাকায় নিজের কোট নিলাম করছেন, আমাকে প্রশ্ন করার মোদী কে?’
প্রায় বছর তিনেক আগে দমদমের জেশপ কারখানা রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে নিলেও কেন্দ্রের তরফে বিলে স্বাক্ষর না করায় সেই অধিগ্রহণ আটকে গেছে। এ কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১৫ কোটি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেয়েছিল জেসপ। একইভাবে ডানলপ কারখানা এবং পশ্চিমবঙ্গের বদলে বাংলা নাম করার ক্ষেত্রেও যে বিল স্বাক্ষর করেনি কেন্দ্র, সে কথা জানিয়েও মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তাঁর আরও অভিযোগ, জাতীয় টিভি চ্যানেলগুলিতে তাঁর নামে কটূক্তি করছেন মোদী। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অমর্ত্য সেনকে সরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি বেলুড় মঠ থেকেও স্বামীজিদের সরিয়ে দিয়ে আরএসএস–এর লোকদের বসিয়েছেন মোদী। এমনকী অনেক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের বিরুদ্ধে খবর সম্প্রচারে কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন চৌকিদার। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক তোপে ভোটের বাজারে রীতিমতো বেকায়দায় মোদী-সহ গোটা গেরুয়া শিবির।