‘দাঙ্গা করেই হাতেখড়ি নরেন্দ্র মোদীর। ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ত দল হল মোদীর বিজেপি’। হাড়োয়ার সভা থেকে এভাবেই মোদী ও বিজেপিকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিএসএফ-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মানুষ টাকা নিয়ে বাংলায় ঢুকছে, ভোটে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে৷ বিএসএফ, সীমান্ত সামলান’৷ সেইসঙ্গে সাবধান করলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও৷ পাশাপাশি জেলায় দলের নেতাদের সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷
ভোট কিনতে বিজেপি নেতারা টাকার থলে নিয়ে ঘুরছেন বলেও হাড়োয়ায় স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘বাক্স বাক্স টাকা ঢুকেছে। গাড়ি করে, হেলিকপ্টারে করে টাকা আসছে। বনগাঁ, বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় টাকা চলে যাচ্ছে।‘দিল্লীতে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘মনে রাখবেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারকে উপড়ে ফেলার ক্ষমতা কিন্তু একমাত্র তৃণমূলই রাখে৷ আর কেউ সেই ক্ষমতা রাখে না৷ এই ভোট ভবিষ্যৎ তৈরির ভোট৷ সারা দেশকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে৷’ এদিনের জনসভা থেকে তিনি ফণী নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকাকেও কটাক্ষ করেছেন৷ প্রশ্ন তুলেছেন, ফোনে খোঁজখবর নেওয়ার হলে কেন মোবাইল নম্বরে ফোন করেননি মোদী৷
শনিবার দুপুরে বসিরহাট কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কর্মসূচি রয়েছে৷ হাড়োয়ার শংকরপুরে প্রথম সভাটি করেন তিনি৷ সেখান থেকেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের ১০ জন লোক এখানে লুকিয়ে ছিল৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে৷ কেন বাংলার ভোটে বহিরাগতরা আসছে? আমি নেতাদের সতর্ক করছি, বাইরে কিন্তু লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে টাকা নিয়ে৷ অজান্তে ক্ষতি করে চলে যাবে৷ বিএসএফ-কে বলছি, সীমান্তে পাচার সামলাও৷ বিজেপির হয়ে কাজ কোরো না৷ আর মনে রাখবেন, রাত জেগে পাহারা আমরাও দিচ্ছি৷’