ভোট ঘোষণার পর থেকেই অশালীন মন্তব্য ও কুকথার ফোয়ারা ছুটছে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মুখ থেকে। নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের প্রতি তোপ দাগার ঘটনা বর্তমানে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালেও ভদ্রতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বাদ রইলেন না প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা পূর্ব দিল্লীর বিজেপি প্রার্থী গৌতম গম্ভীরও। তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা পূর্ব দিল্লির আপ প্রার্থী অতিশীকে ‘পতিতা’, ‘গো-ভক্ষণকারী’ এবং ‘মিশ্র রক্তের অন্যতম উদাহরণ’ বলে আক্রমণ করলেন। আর এমন অপমানজনক উক্তির ফলে সাংবাদিক সম্মলনের সময় কেঁদে ফেললেন অতিশী। সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ওঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে ওঁরা কতটা নীচে নামতে পারেন। প্রচারপত্রে ওঁরা লিখেছেন যে আমি মিশ্র রক্তের অন্যতম উদাহরণ।’
শুধু তাই নয়। এরপরই তিনি গম্ভীরের দিকে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, যদি একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁরা এমন আচরণ করেন, তাহলে পূর্ব দিল্লীর কয়েক লক্ষ মেয়ে কীভাবে তাঁর কাছে নিরাপদ বোধ করবেন। সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝেই কাঁদতে থাকা অতিশীকে সান্ত্বনা দিয়ে তাঁর পাশে বসা মণীশ শিসোদিয়া বলেন, এ ধরনের নিম্ন মানসিকতার শব্দবন্ধ পড়তে যে কেউই লজ্জা পাবেন। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল অতিশীকে শক্ত থাকতে পরামর্শ দিয়ে টুইটারে গম্ভীরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, গৌতম গম্ভীর যে এতটা নিচে নামতে পারেন তা তাঁর কল্পনাতীত। এই শাসকের রাষ্ট্রে মহিলারা কীভাবে নিরাপত্তা পাবেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী।
টুইটারে গম্ভীরের পোস্ট দিয়ে আপ দিল্লিবাসীকে আবেদন করে বলেছে, তাঁদের মানসিক জোর থাকলে তাঁরা যেন পড়ে দেখেন, পূর্ব দিল্লীতে বিজেপির বিলি করা প্রচারপত্রে কীভাবে অপমানজনক উক্তি করেছেন গম্ভীর। আপ টুইটারে আরও বলেছে, গম্ভীর যখন ছয় বা চার মেরে বিপক্ষের বোলিংকে ধরাশায়ী করতেন তখন সারা দেশ হাততালি দিত। সেই মানুষটা এত নিচে নামতে পারেন তা ভাবা যায় না। কেজরিওয়ালের টুইট, ‘গম্ভীরকে কটাক্ষ করে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘গম্ভীর যখন ছয় বা চার মেরে বিপক্ষের বোলিংকে ধরাশায়ী করতেন, তখন সারা দেশ হাততালি দিত। সেই মানুষটা এত নীচে নামতে পারেন তা কল্পনার বাইরে।’ স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিজেপির।