রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে যেন গোটা বিশ্ব। প্রত্যেক মানুষের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিটি স্তর নিয়ে অদ্ভুত লেখা বেরিয়েছে তাঁর কলম দিয়ে। হাসি-কান্না-আনন্দ-দুঃখ-প্রেম-বিরহ-উত্থান-পতন প্রতি স্তরে আলাদা আলাদা সৃষ্টি আছে তাঁর লেখনীতে। ছন্দে ছন্দে তিনি আছেন।
আজ সেই মহান ব্যক্তির জন্মদিন আজ। প্রতিটি মানুষের কাছে এইদিনটির কি তাৎপর্য তা আলাদা করে বলার অবকাশ রাখে না। প্রতিটি মানুষের কাছে আলাদা আলাদাভাবে বৈচিত্র্য আছে দিনটার। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে প্রতিটি সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ওনার অবদান লক্ষ্যনীয়।
এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হই, যা আমাদের কাছে জীবনের সবথেকে কঠিন পরিস্থিতি বলে মনে হয়। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির রাজ্যে খুঁজলে বোধহয় বুঝতে পারি যে, আমরা ইতিহাসের বা সামাজিকতার কোনও অভূতপূর্ব পর্বের সম্মুখীন হইনি। দেশ এখন যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে আবার রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির কুঠিরে আশ্রয় নেওয়া খুব জরুরি বলে মনে হচ্ছে। মানুষের জীবনে যে অস্থিরতা আছে, যে জাতীয়তাবোধ আছে, যে অসহিষ্ণুতা আছে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হয় তো তা নতুন বলে মনে হবে। কারণ এইরকম অস্বস্তিকর পরিবেশ এর আগে দেশে তেমনভাবে লক্ষ্যনীয় ছিল না। তবে আমরা ইতিহাস হাতরালে খুঁজে পাই রবীন্দ্রনাথের এমন কিছু সৃষ্টি যা থেকে, উগ্র জাতীয়তাবাদের উদ্ভব কী কারণে হয়, কোন পরিস্থিতিতে হয়, প্রশ্রয় পেলে তা কতখানি হানিকারক হতে পারে, এর মোকাবিলা কোন পথে সম্ভব সবই আছে স্বমহিমায়।
এতবছর পরেও আমরা জীবনে প্রতি মুহূর্তে একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয় নি রবীন্দ্রনাথের ছাতার তলায়। রাজনৈতিক থেকে সামাজিক সব ক্ষেত্রে তিনি বিরাজমান। স্মৃতির রাজ্যের তলানি থেকে আমরা রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে আনি।