আগামী ২৩ মে বিজেপি যে উৎখাত হচ্ছে তা স্বীকার করছেন সমস্ত বিরোধী দলই। বাংলার মাটি যে দুর্জয় ঘাঁটি, তাও বলছেন সকলে। বাংলা যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই নিরাপদ তাও জানেন সকলে। মমতার বাংলায় এসে এবার তার ভূয়ষী প্রশংসা করলেন রাহুল গান্ধী।
গতকাল পুরুলিয়ার কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতোর সমর্থনে ঝালদায় জনসভা করেন রাহুল। জনসভার মাঠে বসেই রাহুল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন? রাহুল এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে শুধু বলেছেন, ‘নির্বাচনের পর দেশের মানুষ ঠিক করবেন কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমি বলার কে?’
রাহুল বলেন, ‘এখন একটা বাজেট হয়। ২০১৯–এর পর ক্ষমতায় এলে দুটো বাজেট হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কৃষকদের। তাঁদের জন্য আলাদা বাজেট হবে। কৃষকদের জন্য সরকার কত বরাদ্দ করতে চলেছে, কোন জেলায় কী সুবিধে দেওয়া হবে, চাষের জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, বোনাস কত দেওয়া হবে বছরের শুরুতেই কৃষকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’ তাঁর দাবি, এর ফলে কৃষকরাও সারা বছরে চাষের পরিকল্পনা করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘মোদীজি, আপনার প্রতিশ্রুতির কথা বলুন। ২ কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের কথা বলুন। পাঁচ বছরে কী হয়েছে, সেটা বলুন। কৃষকদের ন্যায্য পাওনা সম্পর্কে বলুন।কাজ তো কিছুই করেননি। শুধু মিথ্যা কথা বলে গেছেন দিনের পর দিন। ’
রাহুল আরও বলেন, ‘মোদী আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। হারবেন জেনে ভয় পেয়ে গেছেন। তাই আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। আমার বাবা, ঠাকুমা শহিদ হয়েছেন। মোদী এসব জানেন না। আমাকে যত আক্রমণ করবেন, আমি তত শিখব। শক্তিশালী হব।’ কেরল থেকে আপনি কেন দাঁড়ালেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঐক্যের বার্তা দিতেই আমি কেরল থেকে দাঁড়িয়েছি। সিপিএম আমাকে হারাতে চায়। যদি পারে হারাক।