ফের এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল এই দেশ। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নিজের মেয়ে ও জামাইকে পোড়ানোর অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের নিঘোজ গ্রামে ভিন জাতে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ২৩ বছরের মঙ্গেশ রনসিং এবং ১৯-এর রুক্মিণী। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তাই নিজেদের ইচ্ছেতেই তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সাধে পরিবার। অগত্যা বাড়ির লোকের অমতেই মাস ছয়েক আগে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরিবার মেনে নিতে পারেনি মেয়ের বিয়ে। সমাজ মাঝে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিয়ের পর মাস ছয় কেটে গেছে। কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোকেরা তখনও রাগে ফুঁসছে। উপর উপর ক্ষমা করে দিলেও অন্দরের আগুন নেভেনি। পরিবারের সম্মান কেড়েছেন মেয়ে। তাঁকে তো আর সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই গত পয়লা মে দিনমজুর বাবা রাম ভারতীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় কিছু সময়ের জন্য বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন রুক্মিণী। তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সেখানে পৌঁছান মঙ্গেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সুযোগকেই ব্যবহার করে দুই ভাই সুরেন্দ্র ভারতীয় এবং ঘনশ্যাম সরোজকে সঙ্গে নিয়ে ওই দম্পতির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় মেয়ের বাবা। প্রতিবেশীরাই দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে মৃত্যু হয় রুক্মিণীর। মৃত্যুর আগে নিজেই অভিযুক্ত হিসেবে বাবা ও দুই কাকার নাম উল্লেখ করে যান তিনি। এদিকে শরীরের ৪০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছে মঙ্গেশের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার বোটরে জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৭ নম্বর ধারায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। রুক্মিণীর বাবা এই কাজে দোসর হিসেবে সে পেয়েছিল নিজের দুই ভাইকে। ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত পলাতক।