‘এ রাজ্যের মানুষ দিদিকে ১০টি আসনেও পৌঁছতে দেবে না।’ ঝাড়্গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জবাবে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের সভা থেকে প্রত্যয়ী মমতার সহাস্য মন্তব্য, ‘মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে ওঁর। গোল্লা পাবেন। তাই আবোল তাবোল বলছেন!’
প্রসঙ্গত, এতদিন মোদীর দল বিজেপি দাবি করেছে, রাজ্যে তারা ২৩টি আসন পাবে। তবে সোমবার ঝাড়গ্রামে এসে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বাংলায় তাঁর দলের প্রত্যাশিত আসন সংখ্যা আরও খান দশেক বাড়িয়ে দিলেন। এ দিন তাঁর ঘোষণা, তৃণমূল এ বার ১০টি আসনও পাবে না। যার অর্থ, রাজ্যে অন্তত ৩২টি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। তবে মমতা মোদীর হুঁশিয়ারিকে কার্যত ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেন।
কোতুলপুরের সভায় তিনি বলেন, ‘তুমি দশটা পেলে হয়! তৃণমূল ৪২-এ ৪২ পাবে। নিজের কী হবে? হাল ঠিক আছে তো? বেচারা। উথালপাথাল করছে মন! তা না-হলে কেউ বলে তৃণমূল ১০টা আসনও পাবে না’ বাংলা থেকে বিজেপিকে বড় রসগোল্লা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে এর পরেই বিজেপি নেতাদের আগের হিসেবের কথা উল্লেখ করেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘আগে বলেছিল বিজেপি ২৩টা পাবে। এখন তো বলছে শুনছি, ৩৩টা পাবে! কবে বলবে, ৪২টাই পাবে! তার পর বলবে ৫৪৩ এর মধ্যে ৫৪৩টাই পাবে! আসলে উনি গান গাইছেন, আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল!’ তাঁর সাফ কথা, এবার দিল্লীর সরকার গঠনে অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হবে বাংলাই।
গতকাল মোদীকে বিঁধে মমতা এ-ও বলেন, ‘চমকাচ্ছেন-ধমকাচ্ছেন তো আপনি। আপনিই তো সবাইকে সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স, ডাকাত দিয়ে চমকাচ্ছেন। স্পর্ধা ভাল, আস্পর্ধা ভাল নয়।’ তিনি যে কিছুতেই ভয় পান না, তা স্পষ্ট করে দিতে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমায় চমকে-ধমকে লাভ নেই। সবাই ভয় পেয়ে চুপ করে থাকলেও আমি বেঁচে থাকতে চুপ করব না। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা আমিই বাঁধব।’