একবছরের বেশি হেড কোচ নেই ভারতের স্কোয়াশ টিমে। তা সত্ত্বেও ভারতের সৌরভ ঘোষাল ও জ্যোৎস্না চিনাপ্পা এশিয়ান স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আসলে চোট পাওয়া ভারতের স্কোয়াশ প্লেয়ার হরিন্দর পাল সিন্ধু কোচের বেঞ্চে বসে ভারতকে সাফল্য এনে দিয়েছেন।
হরিন্দর পাল সান্ধু এখন অ্যাকটিভ প্লেয়ার। সৌরভের প্রিয় বন্ধু। র্যাঙ্কিংয়ে দশ নম্বরে থাকা সৌরভ এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন লিও আউ’কে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে ভারতের প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে এই খেতাব জিতলেন। কোচ হিসেবে সান্ধু দারুণভাবে সৌরভকে গাইড করেছেন। সবে পিঠের চোট সারিয়ে সার্কিটে ফিরছেন সান্ধু। জাতীয় কোচ সাইরাস পনচা দলের সঙ্গে কুয়ালালামপুর যাননি। ফলে ‘মেকশিফট’ কোচ হিসেবে হরিন্দর পাল সান্ধু চমক দিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।
সৌরভ ও জ্যোৎস্না এই মুহূর্তে ভারতের সেরা স্কোয়াশ প্লেয়ার। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেতাব ধরে রাখলেন জ্যোৎস্না। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর তিনি এবার হারালেন দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ আনি আউ’কে। হেড কোচহীন হয়েও চ্যাম্পিয়ন, কেমন লাগছে? এই প্রশ্নে সৌরভ বলেন, ‘হরিন্দর আমার প্রিয় বন্ধু। আমাদের খেলা খুব ভালো জানে। আমি ফাইনালে নামার আগে সান্ধুর ব্যক্তিগত কোচ ও প্রাক্তন একনম্বর ডেভিড পালমারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে সান্ধুও ছিল। সে জানে, আমি কোর্টে গিয়ে কী করতে পারি। তবে বেঞ্চে হরিন্দর থাকা মানে বিশাল ভরসা। পেশাদার কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে সান্ধুর।’ চিনাপ্পাও কোচ হিসেবে সান্ধুর প্রশংসা করেছেন। চিনাপ্পা বলেন, ‘হ্যারির (হরিন্দর) সঙ্গে আমি একদা ডাবলস খেলেছি। ও আমার খেলা খুব
ভালো জানে। হ্যারি কোচ হলে ভারতীয় স্কোয়াশ টিমের উপকারই হবে।’
ভারতীয় স্কোয়াশ ফেডারেশন হেড কোচ নিয়োগ নিয়ে অদ্ভুতভাবে উদাসীন। গত বছর এশিয়ান গেমসে কোচ ছাড়াই খেলতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন ভারতের স্কোয়াশ প্লেয়াররা। একে-অপরকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে স্কোয়াশ টিমে জাতীয় হেড কোচ নেই। যদিও ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট দেবেন্দ্রনাথ সারাঙ্গি বলছেন, ‘জাতীয় কোচ পনচা দারুণভাবেই দলের সঙ্গে মিশে রয়েছেন।’ অথচ কুয়ালালামপুরে গিয়ে সৌরভরা আবিষ্কার করেন, তাঁদের সঙ্গে কোচ নেই।