পুলওয়ামাকে কেন্দ্র করে চর্চা চলেই যাচ্ছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে এইখানে সেনাবাহিনী উপর হামলা হওয়ায় নাম উঠে আছে এই স্থানের। তারপর থেকে চলছে একের পর এক ঘটনা। বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি হামলারও কথা উঠে আসে শিরোনামে। নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু এতকিছুর পরও মোদীর থেকে বিমুখ থাকল পুলওয়ামার বাসিন্দারা। যখন মোদী সহ অন্যান্য বিজেপিকে নেতা-নেত্রীরা এই ইস্যুটাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন আর সেখানে পুলওয়ামার কাছে অনন্তনাগে ভোটের হার ২ শতাংশেরও কম। দক্ষিণ কাশ্মীরের গুন্ডিবাগ গ্রাম নির্বাচনী আঁচ উত্তাপ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে৷ গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসবে সামিল হওয়ার বাসনা ইচ্ছা কোনওটাই গ্রামের বাসিন্দাদের নেই৷
পুলওয়ামা ঘটনার আত্মঘাতী জঙ্গি সেই আদিল দারের বাড়ি এই গুন্ডিগ্রামে৷ আদিলের বাবা গুলাম হাসান দার ওই ঘটনার জন্য সরকারকেই দায়ী করেন৷ শুধু তাই নয়, কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থার জন্য সরকার-ই দায়ী বলে মানেন৷ তাঁর কথায়, ‘আমার ছেলে আত্মঘাতী জঙ্গি হয়ে ওঠে৷ নিজেকে বিস্ফোরণের সাহায্যে উড়িয়ে দেয়৷ ওঁর দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়৷ জওয়ানদেরও খুন করে৷ তবে ছেলের মৃত্যুর জন্য যতটা কষ্ট পেয়েছি, ততটা কষ্ট জওয়ানদের মৃত্যু জন্য অনুভব করেছি৷’ রাজনীতিবিদদের প্রতি ক্ষোভের সুর ঝড়ে পড়ল গুলামের কথায়৷ জানান, দিল্লিতে বসে রাজনীতিবিদরা বলছেন তারা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেবে৷ স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে তারা সেটা হতে দেবে না৷ কিন্তু আসল সমস্যা নিয়ে কারোর কোনও মাথাব্যাথা নেই৷
কাশ্মীরের পুলওয়ামা ও সোপিয়ানের অধিকাংশ পোলিং বুথে ভোটারদের দেখা নেই৷ ভোটারদের আশায় চাতক পাখির মতো বসে পোলিং অফিসাররা৷ অপেক্ষা করতে করতেই ভোটের সময় পেরিয়ে যায়৷ কমিশন জানিয়েছে, পুলওয়ামাতে মাত্র ১.৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ সোপিয়ানে আর একটু বেশি ভোট পড়েছে৷ সেখানে ভোটের হার ২.৬৪ শতাংশ৷