আজ পঞ্চম দফার ভোটের শুরু থেকেই বিভিন্ন বুথ থেকে বিজেপির সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছে৷ আর বেশ কিছু ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অর্জুন সিংয়ের৷ এই সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের জন্য তাকে ‘দুষ্কৃতী’ আখ্যা দিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের কার্যকলাপ দুষ্কৃতীর সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্জুনের এই কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছীল ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। শনিবারই ব্যারাকপুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের এক কাউন্সিলর। ওই ঘটনা এবং বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘কেউ যদি গুন্ডামি করে তা হলে আমাদের আর কী করার আছে! পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা–ই নেবে। গুন্ডামি করে ভোটে জেতা যায় না। কিছু লোকের কাছে দাদা ভাবমূর্তি তৈরি হলেও মানুষ তা পছন্দ করে না। মানুষ শান্তি চায়।’ অর্জুনের নাম না করেই তিনি বলেন, ‘ও অনুব্রত সাজার চেষ্টা করছে। অনুব্রত হতে গেলে অনেক গুণ থাকা দরকার। ও অনুব্রতর ধারে–কাছেও না।’
অন্যদিকে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হয়ে ভোট প্রচার করতে ১১ মে অশোকনগরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার প্রস্তাবিত সভাস্থলও ঘুরে দেখেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায়, অশোকনগর–কল্যাণগড় পুরসভার প্রধান প্রবোধ সরকার, হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন প্রধান নীলিমেশ দাস–সহ দলের অন্যান্য নেতারা।
এই সভা প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে হাবড়া এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথা থাকলেও যে মাঠ ঠিক করা হয়েছিল, সেই মাঠে জলের পাইপ লাইন রয়েছে। ফলে সেখানে সভা করলে সেই পাইপ লাইনের ক্ষতি হবে। সেই কারণে সিদ্ধান্ত বদল করে অশোকনগরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’