‘একটা-দুটো গদ্দার সব জায়গাতেই থাকে। তাদের টিকিট দিই না। এখানে দুজন গদ্দার অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এখানকার গদ্দারকেও টিকিট দিইনি। বাবা, ছেলের জমানত জব্দ করে দিন’। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে ভাটপাড়ায় প্রচারে এসে এভাবেই আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘দলে দু’-এক জন গদ্দার থাকে। এখানেও একজন গদ্দার ছিল। সে ভাটপাড়ার টিকিট চেয়েছিল। আমি দিইনি। কেন দেব? খালি গুন্ডাগার্দি করবে, উন্নয়নের কাজ করবে না, আর ভোটের সময় টিকিট চাইবে, এটা আমাদের দলে চলবে না’। বিজেপি এবং মোদীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মমতা। গত পাঁচ বছরে উন্নয়ের খতিয়ান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘আমরা কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পে মানুষকে সাহায্য করি। এমনকি মৃত্যুর পরও সৎকারের জন্য টাকা দিই। আর তুমি গত পাঁচ বছরে কী করেছ? তার জবাব দিতে হবে। এখন আবার ভোট চাইতে এসেছ, লজ্জা করে না?’
দিন কয়েক আগে রাজ্যে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন মোদীকে আক্রমণ করে মমতার প্রশ্ন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে কীভাবে ঘোড়া কেনাবেচার কথা বলতে পারেন মোদী। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে কীভাবেই বা বিধানসভা ভোটের প্রচার করতে পারেন তিনি’।
এরপর পলতায় দ্বিতীয় নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় এখন কৃষকদের রোজগার তিনগুণ হয়ে গিয়েছে’। পলতাতেও মোদীকে ঠুকে তৃণমূল সুপ্রিমোর কটাক্ষ, ‘মোদী বলছেন, তিনি এবার জিতলে ২০২২-এ কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ভোটের সময় মিথ্যা প্রচার করছেন মোদী।’ গত ৩৪ বছরে বাংলায় সেভাবে কোনও উন্নয়ন না হওয়ার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘তৃণমূল রাজ্যে সুলভ শৌচাগার, বাসস্টপে গানের ব্যবস্থা, স্কুলের সামনে অভিভাবকদের জন্য গাছতলায় বসার স্থান তৈরি করেছে। ২৯ টাকায় চাল কিনে জনগণকে তা দুটাকা কিলো দরে বিক্রি করতে গিয়ে বাকি ২৭ টাকা সরকারকে নিজের থেকে দিতে হলেও গরিব মানুষদের কথা ভেবে তাই করেছে রাজ্য সরকার’।