এক জন ভোটার ভোট দিয়েছেন কিনা তা বোঝা যায় আঙুলের কালির ছাপে। ১৯৬২ সাল থেকে ভারতবর্ষের নির্বাচনে এই কালি ব্যবহার হয়ে আসছে। রাজ্যের আট বিধায়ক লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচন পূর্বেই সেইসব বিধায়ক শূন্য আসনে ভোট সেরে ফেলছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এইসব বিধানসভা কেন্দ্রে দু’বার ভোট দেবে মানুষ। একবার লোকসভায় আর একবার বিধানসভায়। সেক্ষেত্রে ভোটারের কোন আঙুলে কালি দিতে হবে তা নিয়ে সমস্যায় ভোটকর্মীরা। তাই লোকসভার জন্য তর্জনী। আর বিধানসভার জন্য মধ্যমা। ভোটদানের আগে কালি মাখাতে এবার ভোটারদের আঙুল নির্দিষ্ট করে দিল নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি জানতে চেয়ে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্বাচন সেল কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। সেই চিঠির উত্তরে কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ভোটারের বাঁ-হাতের তর্জনীতে কালি মাখাতে হবে। আর বিধানসভা ভোটের জন্য কালি মাখাতে হবে ভোটারের বাঁ-হাতের মধ্যমায়।
আগামী ৬ তারিখ সোমবার লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা ভোট রয়েছে উলুবেড়িয়াপূর্ব এবং ভাটপাড়া বিধানসভা আসনে। অর্থাৎ এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ একসঙ্গে দু’টি ভোট দেবেন। শুধু তাই নয়, আগামী ১৯ মে উপ-নির্বাচন রয়েছে দার্জিলিং, ইসলামপুর এবং হবিবপুর বিধানসভা আসনে। ২০ তারিখ ভোট হবে নওদা ও কান্দি বিধানসভায়। এই সব আসনে ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোট হয়েছে। ভোটাররা একপ্রস্থ আঙুলে কালি মেখে ফেলেছেন। তাই ভোটারের হাতে কালি মাখানো নিয়ে যাতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয় সেটাই স্পষ্ট করে দিল কমিশন।