তিনি দিদির অনুগত সৈনিক। যখন স্বয়ং দলনেত্রীই ঝড়ের দুয়ারে বসে তার গতপ্রকৃতির ওপর নজর রাখছেন, তখন তিনিই বা পিছপা হবেন কেন। তাই ফণীর আতঙ্কে কলকাতার মানুষ যখন নিজেদের ঘরবন্দী করে ফেলেছেন তখন বিনিদ্র রজনী কাটালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবং তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। শুক্রবার সারা রাত পুরসভার দফতরে বসে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখলেন তিনি। সেইসঙ্গে দুর্যোগ মাথায় নিয়ে শহরের এ’প্রাপ্ত থেকে ও’প্রান্ত ছুটে বেড়ালেন। খতিয়ে দেখলেন প্রশাসনিক প্রস্তুতি। শেষ পর্যন্ত কলকাতার দূর থেকেই ফণী বর্ধমানে চলে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকে সংবাদমাধ্যমে উড়িষ্যায় ফণীর তাণ্ডবের একের পর এক খবর আসতে শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাতেও তার তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি ফণী ঘিরে চূড়ান্ত সতর্ক ছিল কলকাতা পুরসভা। সকাল থেকে পুর ভবনে প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আর প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সারাদিন দফায় দফায় পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মেয়রের এই তৎপরতা অব্যহত ছিল মধ্যরাতেও। একের পর এক বোরো অফিসে ছুটে বেড়ান তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে পৌঁছে যান পুরসভা ভবনে। সেখান থেকে খোঁজখবর নিতে থাকেন। সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যায় পড়লে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দিয়েছিলেন মেয়র। হোয়াটসঅ্যাপে কী খবর আসছে, প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছিলেন তিনি। এর মধ্যেই অনেক রাত পর্যন্ত তাঁর কাছে ফোম আসতে থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানা গেছে, বেশ কয়েকবার শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে, মেয়রের এইরূপ তৎপরতা দেখে যারপরনাই খুশি শহরবাসী।