চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা এগিয়েই রাখল বার্সা। ইউরোপের দুই সেরা শক্তির লড়াই। রাফ ফুটবলে সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিপক্ষ দলে এমন একজন রয়েছেন। যিনি খেলতে শুরু করলে বাকিরা সবাই পাত্তা পায়না। তিনি মেসি। ক্যাম্প ন্যূ তে ৩–০। সুয়ারেজের একটা। দুটো এলএমটেনের। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে লিভারপুলের কাজটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। তবুও ফুটবলে সম্ভব হয়ে যায় অনেককিছুই।
আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় পর্ব অ্যানফিল্ডে। ম্যাচ শেষে হতাশ ক্লপ স্বীকারই করে নিয়েছেন, “খেলেছি ভালই। কিন্তু ওই মেসিই গড়ে দিল তফাত। ওই ফ্রিকিক বাঁচানো যেত না”। যিনি নায়ক তিনি কিন্তু দলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “৪–০ হলে আরও ভাল হত। তবে ৩–০ মন্দ নয়। ফাইনালে উঠে গেলাম ভাবাটা ভুল। সাবধানে থাকতে হবে অ্যানফিল্ডে”।
২০১৪ সালে অ্যানফিল্ড ছেড়েছিলেন। তারপর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে নামলেন ৫ বছর পর। ২৬ মিনিটে সুয়ারেজই গোল করে দিলেন। প্রথমার্ধে ১ গোলের ব্যবধান ধরে রেখেছিল বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে সালার শট লাগল পোস্টে। আরেকটা সহজ সুযোগ করলেন নষ্ট। অ্যাওয়ে গোলের অ্যাডভান্টেজ নিতে পারলেন না। ৭৫ মিনিটে গোল পেলেন মেসি। আর ৮২ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে অনবদ্য ফ্রিকিক থেকে গোল। বার্সার হয়ে ৬০০ গোলের দিন পরিসংখ্যান জানাল, ২০০৫ সালের ১ মে বার্সার হয়ে প্রথম গোল করেছিলেন তিনি।