ভোট ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের ভাষণে প্রায় রোজই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক। ভোটের দফা যত এগোচ্ছে, ইভিএম নিয়ে ততই দিকে দিকে সরব হচ্ছে বিরোধীরা। আর ইভিএম নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার প্রশ্নের মুখে ভোটের কালি।
অভিযোগ উঠেছে, একদিনে মোছে না, নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করা এমন কালিও উঠে যাচ্ছে নেলপলিশ রিমুভারে!
প্রসঙ্গত, ইভিএম বিতর্ক রাজনীতির চাপানউতোর ছাড়িয়ে যখন আদালতের দরজায়, তখন ভোটের কালি নিয়ে শুধু বিরোধীরাই অভিযোগ আনেননি, নাগরিক সমাজের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সবর হয়েছেন। আজ সকালে ভোট দিয়ে আঙুলে কালির ছাপ লাগানো তাঁর একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন কংগ্রেস মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা। কিছুক্ষণ পরেই টুইটারে আর একটি পোস্ট করেন সঞ্জয়। সেখানে দেখা যায়, ঝা-র আঙুল থেকে মুছে গিয়েছে ভোটের কালি।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার আঙুলের ভোটের কালি এক ঘণ্টার মধ্যেই মুছে গিয়েছে নেলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করে। আমার এক বন্ধু এ নিয়ে একটা ছবি পাঠিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁর আঙুলের ভোটের কালি উঠে গিয়েছে। ব্যাপারটা নিজের উপর প্রয়োগ করে দেখলাম!’ উল্লেখ্য, প্রথম পর্বের ভোটের দিনই একই অভিযোগ এনেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিক। সে দিনই হায়দ্রাবাদের আর এক সাংবাদিক একই অভিযোগ করেন। নয়ডার ওই সাংবাদিক বিষয়টি কমিশনের নজরেও এনেছিলেন।
জাল ভোট ঠেকাতে মাইসোরের একটি সংস্থার কালি ব্যবহার করে থাকে নির্বাচন কমিশন। এই কালি আঙুলে এক সপ্তাহ লেগে থাকার কথা। এ বারের লোকসভা ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য কমিশন ২৬ লক্ষ বোতল কালি কেনা হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। কালি বিতর্কে কমিশন বলেছে, ‘১৯৫০ থেকে এই কালির ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশ এই কালি ব্যবহার করে থাকে। ভারতে ভোটের আগে কালি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সাধারণত সিএসআইআর-এ পাঠানো হয়।’ তবে এ বার সেই পরীক্ষা ঠিক ভাবে হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে।