গরমে, ঘামে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে। প্রবল গরমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়। বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস টপকে গেছে। এর মধ্যেই আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। আবহাওয়া সূত্রে খবর আজ সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৭২ কিলোমিটার।
আবহওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ফণীর যা অভিমুখ রয়েছে, তার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়তে পারে। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গে চলা তাপপ্রবাহে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেই তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে জারি হয়েছে সতর্কতা।
ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, মছলিপত্তনম, কৃষ্ণাপত্তনম ও নিজামপত্তনম বন্দরে সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের গতি থাকবে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার মত। এখানে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি মুখ ঘুরিয়ে ওড়িশা ও বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে পশ্চিমবঙ্গও এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রেহাই পাবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে আজও। ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি হলে স্বস্তি পাবেন শহরবাসী, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদিও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ফণীর অভিমুখের উপরেই। কতটা শক্তি বাড়িয়ে ফণী উড়িশ্যা উপকূলে আছড়ে পড়বে, তার উপরেই নির্ভর করবে এ রাজ্যের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।