আগামী ২৯ মে অর্থাৎ সোমবার চতুর্থ দফার ভোট। তাই গতকাল বিকেলেই ছিল শেষ প্রচার। সব দল প্রচার সারলেও সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে তৃণমূল। মানুষের নজর কেড়েছে তৃণমূলের বর্ণাঢ্য প্রচারই। রোড শো, পথসভা, মিছিল মিটিংয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল প্রচারের অন্তিমক্ষণ। সোমবার বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান–দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম—এই ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে বাংলায়।
রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি প্রশাসনও ভোট নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুত। রানাঘাট লোকসভার প্রার্থী রূপালি বিশ্বাসের সমর্থনে শনিবার চাকদায় রোড শো করে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী ও মন্ত্রী রত্না ঘোষ। রোড শো শুরু হয় চাকদার বাসস্ট্যান্ড থেকে। অগণিত মানুষ রাস্তার দু–ধারে ভিড় জামান। অভিনেত্রী শুভশ্রীকে দেখার জন্য মানুষের উন্মাদনা ছিল দেখার মত। রোড শো শেষে পার্থ জানান, “বিজেপি ভোট জেতার জন্য নানা কারচুপি করছে। মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু ওরা জানে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ঝড় উঠেছে। সেই ঝড়কে থামানোর ক্ষমতা কারও নেই”।
বীরভূম কেন্দ্রে এদিন সব থেকে বড় রোড শো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে রামপুরহাটে। এই রোড শো জনস্রোতে পরিণত হয়। রোড শোয়ের মধ্যমণি হয়ে হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়েছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বোলপুরে প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে রোড শো করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শেষ প্রচারে বহরমপুর শহরে মহামিছিল করে সাড়া ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। এদিন সাড়ে তিনটের পর শুরু হয় তৃণমূলের মহামিছিল। মিছিলের শুরুতে কুঞ্জঘাট ছিল লোকে লোকারণ্য। এদিনের মিছিলে বেশ কয়েকটি ট্যাবলো ছিল। তাতে কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী নানা প্রকল্পের কথা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মিছিলে কয়েকশ টোটো ছিল। এভাবেই মিছিল এগিয়ে চলে খাগড়া, গির্জার মোড়, কালেক্টরি মোড় হয়ে গোরাবাজারের নিমতলার দিকে। মোট ৫ কিমি এলাকা জুড়ে তৃণমূলের মহামিছিল হয়।
বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের সমর্থনে কাটোয়া শহরজুড়ে বিশাল মিছিল করে তৃণমূল। দলীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হয় এই শোভাযাত্রা। বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতার হয়ে প্রচারে এসে জনজোয়ারে ভাসলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আসানসোলের কুলটিতে মুনমুন সেনের পক্ষে শেষদিনে প্রচার করলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী মুলত সাঁকতোড়িয়া, ডিসেরগড় এবং কুলটিতে ছোট ছোট সভায় দলের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। তৃণমূলের এই বর্ণাঢ্য মহামিছিল দেখতে রাস্তার দু–ধারে শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন।